ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন।।রোববার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। রোডম্যাপ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনের আশা কতটা জাগাতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়৷
কারণ, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যয়ক্রমে ৪০ লাখ ইউরোর সহায়তা প্যাকেজ দেবে তারা। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এবার ‘ভোটার এডুকেশন'কেও গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ।
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে ইইউ? নির্বাচনে ন্যূনতম কোন কোন বিষয় নিশ্চিত করলে তাকে আন্তর্জাতিক মানের বলা যায়? সেসব নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কী কী চ্যালেঞ্জ জয় করতে হবে?
বিশ্লেষকরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। সেইসঙ্গে বলছেন নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার কথাও।
মঙ্গলবার ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-র সঙ্গে দেখা করার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে রূপান্তরে ইইউ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।” তিনি জানান, তারা ‘ভোটার এডুকেশনের' ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। কার্যকর পরিকল্পনা, বিরোধ নিষ্পত্তির মতো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সহায়তার মাধ্যমে ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সরাসরি সহায়তা করবে ইইউ - এ কথাও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের মানদণ্ড
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের কিছু মানদণ্ড আছে। সেগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কার্টার সেন্টার, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনন্সিটিটিউট (এনডিআই)। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তি এই ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণভাবে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন বলতে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচনকে বোঝায়। তবে সেটা নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক সংস্থার মানদণ্ড ও বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ক বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য ২০-২৫টি মানদণ্ড সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
তার মধ্যে আছে: ১.মুক্ত ও নিরপেক্ষ পরিবেশ ২. সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সমান সুযোগ ৩. অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ৪. সকল যোগ্য নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ৫. সংখ্যালঘু, নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ৬.স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ৬. নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ৭. গোপন ভোটাধিকার ৮. সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ৯. রাষ্ট্রীয় সম্পদ বা সরকারি যন্ত্র ব্যবহারের সুবিধাকোনো দল বা প্রার্থীর না পাওয়া ১০. গণমাধ্যমে সবার সমান প্রচার ও বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ ১১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা- ভোটগ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে ১২. আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ১৩. আইনের শাসন ও নির্বাচন-পরবর্তী সুরক্ষা, নির্বাচনি সহিংসতা, কারচুপি বা অনিয়ম হলে দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ১৪. নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকারের বৈধতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ১৫. প্রার্থীদের সব তথ্য ভোটারদের জন্য প্রকাশ করা ১৬. ভোটের আগে ও পরে ভোটার সুরক্ষা ১৭. ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা। ১৮. প্রার্থীদের এজন্টদের সামনে ভোট গণনা ১৯. ভোটারের ভোটের প্রতিফলন ।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন
সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেসমিন টুলি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তার মধ্যে সবার আগে আামি আইন-শৃঙ্খলাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ, এর ওপরই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনেক কিছু নির্ভর করছে। ভোটারের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা, এরপরে আইনের কিছু সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা ঠিক করতে হবে। প্রার্থীদের প্রচারের বিষয়টি দেখতে হবে। কারণ, এখনই কেউ কেউ প্রচার শুরু করেছে। আসলে ভোটার তালিকা, সীমা নির্ধারণসহ আরো যে কাজ আছে, সেগুলো ঠিকমতোই হচ্ছে। তবে এখন যেটা দরকার, সেটা হলো ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। আর এখন থেকেই লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে কাজ করা, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আর কমিশনের প্রত্যেক কাজে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।”
ভোটার এডুকেশনকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, " সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, যিনি ভোটার, তিনি যেন প্রভাবমুক্ত থেকে তার প্রার্থী নির্বাচন করেন। বিশেষ করে তিনি যেন কোনোভাবেই অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত না হন। তাকে এটা বুঝতে হবে, তিনি যাকে নির্বাচিত করবেন, তিনি যেন সৎ ও যোগ্য হন। তার মধ্যে যেন কোনো ধরনের ব্যক্তিগত স্বার্থ কাজ না করে। আরেকটি হলো, ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভোটারের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তিনি যেন নিজেই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। ভোট দিতে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে তিনি যাতে প্রভাবমুক্ত থাকেন।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেসমিন টুলি আরো বলেন, "এটা শিক্ষিত লোকের চেয়ে বস্তি এলাকা, গ্রামীণ জনপদ ও কম শিক্ষিত লোকের জন্য বেশি প্রয়োজন। সাধারণত ভোটারদের সচেতন করার জন্য নির্বাচন কমিশন কিছু কনটেন্ট তৈরি করে, প্রচারপত্র তৈরি করে। সংবাদমাধ্যমেও তারা প্রচার চালায়। কিন্তু এগুলো খুব বেশি কার্যকর হয় না। তাই প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে গ্রুপ করে এই শিক্ষা নিয়ে কাজ করা।”
নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. জাহেদ-উর- রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য সাধারণভাবে বলা হয় অবাধ, সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ এবং অংগ্রহণমূলক। কিন্তু এগুলো অর্জন করতে হলে অনেকগুলো মানদণ্ড আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, প্রার্থী ও ভোটারের অবাধ অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা, নির্বাচন কমিশন ও সরকারে নিরপেক্ষতা, সর্বোপরি ভোটারের ভোটের বাস্তব প্রতিফলন।”
তার বিবেচনায়ও বাংলাদেশে আন্তর্জাাতিক মানের নির্বাচনের জন্য এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ আইন-শৃঙ্খলা। তার কথা, "বাংলাদেশে চাইলেও তো আমরা একদম শতভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারবো না। তারপরও যদি সরকার, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকে, রাজনৈতিক দলগুলোকে আরচরণবিধি মানানো যায়, সত্যিকার অর্থে প্রার্থীদের সম্পদ, নির্বাচনে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা যায়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যায়- তাহলে ভালো নির্বাচন সম্ভব। ভোটারদের নিরাপত্তা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরে- এই তিন ধাপে নিশ্চিত করতে হয়।”
আন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রশ্নে ড. জাহেদ-উর- রহমান বলেন, "এটা ঠিক যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু তাদের যে প্রার্থীরা এখনো আছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই বা আইনগতভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা নাই, তারা যেন চাইলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন। তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেও বাধা দিলে অন্তর্ভুক্তিমুলক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আর দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয়। তবে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।”
পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন যা বলছে
নির্বাচনে এবার দেড় লাখের মতো পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকবে। ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা থাকবে পুলিশের জন্য। ঝঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশকে এই বডি ক্যামেরা দেয়া হবে।
পুলিশের আইজি বাহারুল আলম ডয়চে ভেলেকে জানান," নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশকে শক্তিশালী করতে সারা দেশে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। ৩১ আগস্ট ঢাকায় প্রশিক্ষণ শুরু হবে। সেপ্টেম্বরে হবে ঢাকার বাইরে। এটা শেষ হবে মিড ডিসেম্বরে। নির্বাচনে মোট এক লাখ ৪৪ হাজার পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। আমরা মোট এক লাখ ৫০ হাজারকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণ শেষ হলে প্ল্যানিং, ডেপ্লয়মেন্ট এগুলো নিয়ে কাজ করবো। আমরা এখন নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।”
"আর নির্বাচনে পুলিশের বডি ক্যামেরাও থাকবে। সরকার এটা চাইছে। আইসিটি বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করছে। প্রশিক্ষণে বডি ক্যামেরা নিয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে,” বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠক করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে বলে ডয়চে ভেলেক জানান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, " আগামী রোববার রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবো।”
তিনি আরো বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হবে না । কারণ, আগে সেনাবাহিনী থাকতো স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে। এবার তো আমরা তাদের ক্ষমতা দিয়ে আইন করেছি। ফলে, তারা সারাসরি দায়িত্ব পালন করবে। আর পুলিশ তো আছেই।”
"আমরা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করেছি। সেখানে কখন কী করবো, তা আছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, কালো টাকার প্রভাব যাতে না থাকে- তার সব ব্যবস্থা আছে। ভোটারদের নিরাপত্তা, কেন্দ্রের নিরাপত্তা সবই আমরা দেখছি,” বলেন তিনি৷
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ দাবি করেন, ইইউ যে ভোটার এডুকেশনের কথা বলেছে তা-ও রোডম্যাপে আছে। কীভাবে, কখন ভোটার এডুকেশন নিয়ে কাজ করা হবে তার বিস্তারিত সেখানে আছে বলেও দাবি করেন তিনি৷
তার কথা, "একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন ইইউর মতো আমরাও চাই।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তো আমরা কিছু বলতে পারবো না। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনে বাধা থাকবে না। স্বতন্ত্র তো স্বতন্ত্র। তার তো কোনো রাজনৈতিক দল নাই।”
ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে
জানা গেছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ঢাকা আসছে। ইইউর প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলে তিন বিদেশি এবং চার স্থানীয় মিলিয়ে সাতজন থাকবেন৷ দলটি আগামী ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে তাদের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ শেষ করবে বলে জানা গেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সফরকালে দলটি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ পরিবেশ রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে। এই অনুসন্ধানী সফরের ভিত্তিতে ইইউ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা।
ইইউ বাংলাদেশে এর আগেও বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে৷ বিশেষ করে ২০০৮ ও তার আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল তারা। তবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠায়নি, বরং একটি ছোট অনুসন্ধানী দল পাঠিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছিল। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা শুরুতে আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠায়নি।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, "তাদের আসার তারিখ আমরা জেনেছি। কমিশন তাদের সব সহযোগিতা দেবে।”