মোস্তাক মোর্শেদ ইমন, ইবি: [২] কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর গণরুমে রাতভর এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ভিন্ন দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটিতে অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মিঠুন বৈরাগী।
[৫] এছাড়াও লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন প্রদত্ত চারসদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। চার সদস্য বিশিষ্ট হল কমিটির অন্যরা হলেন, আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম ও ড. হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও উভয় কমিটিকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
[৬] এর আগে, গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চনার অভিযোগ পায় প্রশাসন।
[৭] ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম অপু মিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ ও লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শুরুতে বিষয়টি মিটমাট করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা নজরে এসেছে প্রশাসনের।
[৮] এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ না পেলেও নিউজের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা হাইকোর্টের নির্দেশনায় রয়েছে। তাই প্রশাসনের কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আবারও গণরুম গুলোতে এই কালচার নিয়ে অভিযান চালাবো।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :