শিরোনাম
◈ ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন ◈ আইসিসি উ‌ত্তে‌জিত, পা‌কিস্তান ক্রিকেট দল কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পা‌রে ◈ নি'ষিদ্ধ দলের লোককে বাসা ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং! (ভিডিও) ◈ নারীদের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে সরানোর নির্দেশ তালেবানের, যৌন হয়রানি নিয়েও পড়ানো নিষেধ ◈ ঢাকাসহ বি‌ভিন্ন জেলায় আওয়ামী লী‌গের কর্মকা‌ণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?  ◈ টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার! ◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০৮:২৭ রাত
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদের বেতন-বোনাস: মহাখুশি মাদরাসা শিক্ষকরা, স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের নেই ঈদ আনন্দ 

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেসরকারি মাদরাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চের বেতন-বোনাসের অর্থ ছাড় করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তারা ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতার টাকা তুলতে পারবেন। ঈদের আগে চলতি মাসের বেতন ও ভাতা পেয়ে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা মহাখুশি।

ভিন্নচিত্র এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে। চলতি (মার্চ) মাসের বেতন তো দূরের কথা, তারা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনও পাননি। এমনকি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী জানুয়ারি মাসের বেতনও এখনো পাননি। ফলে স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য এবার হতাশার ঈদ।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের এমপিওর অংশ অ্যানালগ পদ্ধতিতে ছাড় করতো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও মাদরাসা অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি থেকে মাউশির অধীনে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে ইএফটির মাধ্যমে। এতে দেখা দিয়েছে জটিলতা। ভোগান্তি কমাতে ইএফটি চালু করা হলেও তা উল্টো কাঁধের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে মাদরাসা অধিদপ্তর এখনো মাদরাসা শিক্ষকদের অ্যানালগ পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ছাড় করছে। ফলে তারা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন অনেক আগেই পরিশোধ করেছে। এখন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) চলতি মার্চ মাসের বেতনও ছাড় করেছে। ফলে মাদরাসা শিক্ষকরা ২৭ মার্চ শেষ কর্মদিবসে ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতার টাকা তুলতে পারছেন।

অন্যদিকে মাউশি সূত্র জানিয়েছে, স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনও পাননি। আর মার্চ মাসের বেতন ঈদের আগে দেওয়া সম্ভবই নয়।

মাউশির কর্মকর্তারা জানান, স্কুল-কলেজের তিন লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের জিও জারি হয়েছে। তবে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে এখনো ব্যাংকে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার হয়তো ব্যাংকে টাকা যেতে পারে।

এদিকে, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। শিক্ষকরা বলছেন, অনেক সময় ব্যাংকে টাকা যেতে রাতও হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার ব্যাংকে টাকা ঢুকলেও তারা ঈদের আগে বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে হতাশ দেশের প্রায় ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী।

স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতনও পেয়েছেন। বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চের বেতনও ছাড় হয়েছে। অথচ মাউশির কর্মকর্তাদের অবহেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এর দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক মো. সান্ত আলী বলেন, কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-বোনাস দিতে মাউশি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা শিক্ষক-সমাজকে চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় মাউশি গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে এসেছে। শিক্ষকরা যদি সরকারের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে সরকারের ঘোষণা সত্ত্বেও ২৩ মার্চের মধ্যে বেতন-বোনাস দেওয়া হলো না কেন?

তিনি বলেন, শিক্ষকের ঈদ আনন্দ তো ম্লান হয়ে গেছেই। তারচেয়েও বড় বিষয় সমাজ ও পরিবারের কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না আমরা। তরুণ শিক্ষকরা এ বৈষম্য ও অবহেলা সহ্য করবে না। আমরা প্রয়োজনে মাউশি ঘেরাও কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনলাইনে দেওয়া খুব সহজ বিষয় না। অনেকের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তবুও মানবিক বিবেচনায় তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে।

ইএফটির জটিলতা কেন কাটছে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নতুন একটি বিষয় বাস্তবায়ন করতে নানা সমস্যা হয়। সব সমস্যা সমাধান করে বেতন দেওয়ার কাজ চলছে। আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। বাকি কাজ অর্থ মন্ত্রণালয় ও ব্যাংকের। তাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না। কবে ব্যাংকে টাকা পাঠানো হবে, সেটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস ভালো বলতে পারবে। উৎস: জাগোনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়