শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় কাশ্মীরজুড়ে ব্ল্যাকআউট, সাইরেন, দাবি ভারতের ◈ পিএসএল  খেল‌তে যাওয়া রানা ও রিশাদকে পা‌কিস্তান থে‌কে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ বিসিবির ◈ ভারতের প্রায় ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের ◈ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে স্নিগ্ধের পদত্যাগ ◈ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: দায়িত্বে অবহেলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি ◈ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ায় ব্যাপক সমালোচনা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পুরনো বিরোধের নতুন বিপজ্জনক মুহূর্ত ◈ রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ভার‌তের ড্রোন হামলা, পিএসএলের ম্যাচ অনিশ্চিত ◈ বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসে সংকটের মুখে উন্নয়ন: বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ ◈ প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কার লিস্ট, সব জটিল হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৫ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে ঢাবি শিক্ষার্থীরা আহত, যা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ মানুষের দু’টো পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের জের ধরে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা আহত হয়। ঢাকার আজিমপুরে ঘটা এই ঘটনা নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের।

তিনি বলেছেন, “আমার কাছে যে তথ্য আছে, ওখানে রাস্তার পাশে যে ভেন্ডর থাকে, ওদের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই শিক্ষার্থীদের সাথে ওখানের দোকানদারদের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং তারপর দোকানদাররা বোধহয় আর্মির মোবাইল পেট্রোল টিমকে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর সেনাবাহিনী দু’পক্ষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ওদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।

“এটা সৈনিকরা করেছে, অফিসাররা না। ওখানকার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদকে আমি যখন ইনভলভ করি, তিনি এসে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করেছেন…কিন্তু কোনও এক ফাঁকে দুই জন শিক্ষার্থীকে ওরা (সৈনিকরা) ভেতরে নিয়ে যায়।”

যে দু’জনকে তুলে নিয়েছে, তাদেরকে “ব্যাপকভাবে মেরেছে” বলে জানান তিনি। “ওই দুইজন ব্যাপকভাবে জখম হয়েছে। এটা অফিসারদের অজ্ঞাতে হয়েছে।”

আহত ওই দুই শিক্ষার্থীদেরকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। পরে তাদেরকে রাত তিনটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের উপস্থিতিতে সিএমএইচে পাঠানো হয়।

সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে আপাতত কোনও শঙ্কা নেই। “তবে ওদের বিশ্রাম দরকার এখন। পরবর্তী ছয় ঘণ্টা পর বোঝা যাবে যে অন্য কোনও ট্রিটমেন্ট দরকার কিনা। বিশেষ করে তাদের লোয়ার পার্টে…সেখানে জখমের চিহ্ন আছে।”

ইসলাম জানান, এই দু’জন শিক্ষার্থী মুহসিন হলের ছাত্র। তবে গুরুতর আহতের সংখ্যা দু’জন হলেও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের কারণে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।

এই ঘটনা তদন্তের জন্য সেনাবাহিনী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছে। “তারা এই ইস্যুটা খুব সিরিয়াসলি দেখবেন। তারা যেহেতু কথা দিয়েছেন, তাই আমরা মামলাতে যাইনি।”

সূত্র: বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়