ববি বিশ্বাস: [২] চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি লালন শাহ হলের গণরুমে রাতভর আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র্যাগিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] এই ঘটনায় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনে সম্পৃক্ত তিনজন ছাত্রকে শনাক্ত করেছে। যার মধ্যে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগরের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কমিটি তাদের মধ্যে দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা কম পেয়েছে কমিটি। তাঁরা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
[৪] ছাত্র নির্যাতনের এই বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুটি তদন্ত কমিটিই প্রতিবেদনে র্যাগিংয়ের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
[৫] অভিযোগ অনুযায়ী, ৭ ফেব্রুয়ারি লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রড দিয়ে মারধর করা হয়। এছাড়াও সেই ছাত্রকে পর্নোগ্রাফি দেখানোসহ টেবিলের ওপর কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখে অভিযুক্ত দুইজন। তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালও দেয়া হয়। তা ছাড়া নাকে খত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
[৬] এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন প্রতিবেদন উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়েছে। এরপর পরবর্তী সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
বিবি/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :