শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৩১ রাত
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

সালেহ্ বিপ্লব: [২] বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারি মিলের চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছিলো। রাতে সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে মূল্যবৃদ্ধির আদেশ রহিত করা হলো।

[৩] এর আগে ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য কেজিতে ১৫০ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে বিএসএফআইসি। করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। 

[৪] এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফআইসি জানিয়েছিলো, আন্তর্জাতিক ও দেশিয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

[৫] বর্তমানে বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ১৪০ টাকা কেজি প্যাকেট চিনির কেজি নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

[৬] গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টন চিনি আমদানিতে কাস্টম ডিউটি ৩ হাজার টাকা, আরডি ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনি আমদানি ডিউটি পরে প্রায় ৬১ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত চিনি চাহিদার তুলনায় নগণ্য হওয়ায় এই শুল্ক নিয়ে বিবেচনার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল টাস্কফোর্স কমিটি। পরে আর ব্যবসায়ীরা চিনি দাম আর কমায়নি। উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছিল।

[৭] ব্যবসায়ীদের চাপে গতবছর ২ নভেম্বরে আবার চিনির আমদানি শুল্ক কমায় সরকার। তখন তার কোনো প্রভাব বাজারে পরেনি। উলটো বেড়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আবারও চিনিতে শুল্ক সুবিধা প্রতিকেজিতে ৬৮ পয়সা করা হয়। 

[৮] ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে পণ্যে সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ে না। বরং ব্যবসায়ীদের মাঝে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে পণ্যের দামও কমে যায়। চিনিতে যে দাম নির্ধারণ করছে সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। 

[৯] সংশ্লিষ্ট খাতের এমন সমালোচনা এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার। 

এসবি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়