শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৬:১০ বিকাল
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুচরাবাজার বিক্রি হবে ১৬০ টাকা 

চিনি কেজিতে ২০ টাকা বাড়াল সরকার

মো. আখতারুজ্জামান: [২] কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। এছাড়া এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহম্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসএফআইসি। 

[৩] গত ৮ ফেব্রুয়ারি চিনির দাম কমাতে প্রতিকেজিতে ৬৮ পয়সা শুল্ক সুবিধা দিয়েছিল সরকার। ১৪ দিনের ব্যবধানে সরকার নিজেই চিনিতে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বলে, মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

[৪] এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশিয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুননির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

[৫] এছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

[৬] বর্তমানে বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ১৪০ টাকা কেজি প্যাকেট চিনির কেজি নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

[৭] গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টন চিনি আমদানিতে কাস্টম ডিউটি ৩ হাজার টাকা, আরডি ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনি আমদানি ডিউটি পরে প্রায় ৬১ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত চিনি চাহিদার তুলনায় নগণ্য হওয়ায় এই শুল্ক নিয়ে বিবেচনার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল টাস্কফোর্স কমিটি। পরে আর ব্যবসায়ীরা চিনি দাম আর কমায়নি। উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছিল।

[৮] ব্যবসায়ীদের চাপে গতবছর ২ নভেম্বরে আবার চিনির আমদানি শুল্ক কমায় সরকার। তখন তার কোনো প্রভাব বাজারে পরেনি। উলটো বেড়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আবারও চিনিতে শুল্ক সুবিধা প্রতিকেজিতে ৬৮ পয়সা করা হয়। 

[৯] ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে পণ্যে সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ে না। বরং ব্যবসায়ীদের মাঝে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে পণ্যের দামও কমে যায়। চিনিতে যে দাম নির্ধারণ করছে সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। 

এ/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়