মাসুদ আলম: রমজান মাস এলেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এ সময় বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে। এছাড়া সব ধরণের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তবে স্বস্তির খবর হলো ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। আর গরুর মাংসের কেজি ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ৮০ থেকে ৯০, হাইব্রিড শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আকারে ছোট লেবু হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় লেবুর হালি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৯০, ঢেঁড়স ১০০, বরবটি ১০০ ও কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।
ভাটারা নুরেরচালা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫ টাকা কমে দোকান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা। বৃহস্পতিবার ব্রয়লার কেজি বিক্রি করা হয় ২৬০ টাকা থেকে ২৬৫ টাকা। তবে সোনালি মুরগির দাম কমেনি। আগের দামেই ৩৬০ টাকা কিজেতে বিক্রি হচ্ছে।
পূর্ব নুরেরচালার বাসিন্দা প্রবাসী খোরশেদ আলম বলেন, সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। রমজানের প্রথম দিনেই বেগুন, লেবু ও শসার দামও অতিরিক্ত চাওয়া হচ্ছে। এখন ইফতারিতে তো এসব লাগবেই, তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।
বাড্ডা বেরাইদের বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ৭৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস কিনেছি। দাম বাড়ার কারণে অনেকে গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া মুরগির দামও ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা।
সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, চাহিদা বাড়তি থাকায় বেগুন, লেবু ও শসার দাম একটু বেশি। রোজার প্রথম সপ্তাহের পর থেকে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা আছে।
এমএ/এসএ