শিরোনাম
◈ সমমনাদের অসন্তোষ বাড়ছে, আসন বণ্টনে বিএনপি-র কঠিন সমীকরণ ◈ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাড়ছে দারিদ্র্য—সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: ১২ গ্রুপে ৪৮ দল, একনজরে দেখুন কে কার প্রতিপক্ষ ◈ অবশেষে ‘শান্তি’ পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ ◈ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব ◈ লা‌তিন - বাংলা সুপার কা‌পে ব্রাজিলের কাছে পরা‌জিত বাংলাদেশ ◈ ব্রিটেনে অবৈধ ডেলিভারি ড্রাইভার অভিযানে ৬০ জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশিও রয়েছেন আটক তালিকায় ◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে?

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২৩, ১২:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা 

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ। জাগোনিউজ

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সাইদ উল্লাহ, মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজুমদার ও ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান।

ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার সবাই ব্যাংকার এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তারা ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে সরকারকেও বেকায়দায় ফেলে দিতে চান।

পুলিশ কমিশনার তিনি বলেন, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে জামায়াত-শিবির। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যাংক সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রদান করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ান। তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা।

সম্প্রতি কিছু লোককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত কিছু ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। তাছাড়া তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরও কিছু কর্মকর্তাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, যোগ করেন হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কিছু সংখ্যক স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। পরে এ ব্যাংকটি যখন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে এস আলম গ্রুপসহ অন্যান্যদের হাতে আসে, তখন থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পায়তারা শুরু করে। ব্যাংকটি ধ্বংসের পাশাপাশি তারা দেশের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে বর্তমান সরকারকেও বেকায়দায় ফেলে দিতে চায়। তারা মূলত স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সহযোগিতায় তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা কখনোই কাম্য নয়। এই ঘৃণ্য অভিপ্রায় কখনোই সফল হবে না।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গুলশান থানায় করা মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৪জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। 

এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়