মনজুর এ আজিজ : বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, একটি উন্নত এবং আরও টেকসই তৈরি পোশাক শিল্প তৈরির জন্য শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও মঙ্গল নিশ্চিত করাকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে শিল্প ভালো চলবে। যেহেতু আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে শিল্পের সক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছি, তাই আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সুস্থ শ্রমিক অনেক বেশি উৎপাদনশীল হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব নারী নেতাদের সংগঠন জি১০০-এর বাংলাদেশে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এমান্নান এমপি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন, জি১০০-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. হারবিন অরোরা রায়, জি-১০০ গ্লোবাল চেয়ার অব হেলথকেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস এর ফারজানা চৌধুরী প্রমুখ।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা প্রায়ই কর্মসংস্থান, ক্ষমতায়ন, পরিবেশগত টেকসইতা, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ইত্যাদির মতো আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে কথা বলি তবে আমাদের শ্রমিকদের ভালো, সুখী এবং উৎপাদনশীল রাখতে স্বাস্থ্য যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা আমাদের মনে রাখতে হবে। তিনি শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও সুস্থতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
আমাদের বেশিরভাগ কারখানা প্রাঙ্গণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, চক্ষু চিকিৎসা সুবিধা, ডে কেয়ার সেন্টার, ন্যায্য মূল্যের দোকান এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। কারখানাগুলি স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য দাতব্য সেবামুলক উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কারখানায় নিয়োগ দেয়।
বিজিএমইএ সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় শ্রমিকদের কল্যাণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সভাপতি। তিনি বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে যেনশ্রমিকরা অধিক উৎপাদনশীল এবং শিল্পকে অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক করতে অবদান রাখতে পারে।
এমএএ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :