শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ০৩:২৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ০৩:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমঝোতা বৈঠকে ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের প্রত্যাখান

সমঝোতা বৈঠকে ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি

আমিনুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। ধর্মঘট নিরসনে শ্রমিক ও বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠক বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চা শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ১২ সদসের একটি দল। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে বাগান মালিক পক্ষ ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা মজুরী দেয়ার কথা জানান। তবে শ্রমিকরা মাত্র ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি প্রত্যাখান করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

মজুরী নিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তারা বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে বৈঠকে মালিক পক্ষের কাছে ৩শ’ টাকা মজুরী দাবি করেন। মালিক পক্ষ মাত্র ২০ টাকা মুজুরী বৃদ্ধি ঘোষণা করেন। বৃদ্ধি করা মজুরী ২০ টাকায় তাদের সংসারে ব্যয় মিটানো কোনো ভাবে সম্ভব না। তাই তিনি প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ধর্মঘট চলাকালে চা পাতা উত্তোলন ও ফ্যাক্টরিতে চা পাতা প্রক্রিয়াজাত করণের কাজসহ সবধরনের কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ রাখায় ফ্যাক্টরিগুলোতে প্রক্রিয়াজাত করণের অপেক্ষায় থাকা কাঁচা চা পাতাগুলো যেমন পচে নষ্ট হচ্ছে। তেমনি বাগান থেকে সময়মতো চা পাতা উত্তোলন না করায় তাও প্রক্রিয়াজাতের অনুপযোগী হচ্ছে। এবছর ভর মৌসুমে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে চা উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ বন্ধ রাখাসহ ক্রমবর্ধমান লোডশেডিংয়ে চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চরমভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, গেল কয়েকদিন থেকে প্রতিদিনই প্রায় ১৫-১৬ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে এশিল্পের সংশ্লিষ্টরা। তবে আন্দোলন অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির ওই পরিসংখ্যান আরও বাড়বে এমনটিই তথ্য দিচ্ছেন চা বাগান মালিক,স্টাফ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ধর্মঘট নিরসনে দ্বিতীয় দফা আন্দোলনরত চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শ্রীমঙ্গলে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় বুধবার বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন চা বাগান মালিক পক্ষ ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া পৃথক ভাবে ২৩ আগষ্ট ঢাকায় মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।২য় বারেমতো ঢাকার ওই বৈঠকে মজুরী বৃদ্ধির দাবি আদায় না হওয়াতে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানসহ সারা দেশের ১৬৭টি চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন অব্যাহত রয়েছে।

গত ৯ আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা ৩শ টাকা মজুরীর দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। এর পর ১৩ আগষ্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। ১৪ ও ১৫ আগষ্ট ২ দিন স্থগিত থাকার পর ১৬ আগষ্ট থেকে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়