শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২২, ০৬:০০ বিকাল
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২২, ১২:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফলের বাজারে আগুন: ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে আপেল-কমলা

ফল

মিনহাজুল আবেদীন: ফলের বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। গত তিনদিনে বিভিন্ন ফলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আপেল ও কমলার কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। আড়াইশো টাকা ছুঁয়েছে আমের কেজি। আর আঙুরের দাম কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা দরে।

দাম বেড়েছে কমলা, মাল্টা, নাটফল, আনার ও আনারসেরও। জ্বালানির দাম বাড়ানোর পর কয়েকদিন খুচরাপর্যায়ে এসব ফলের দাম ৩০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হয়ে আসায় এখন আম শেষের পথে। বাজারে এখন বারি ফোর ও আশ্বিনা আম পাওয়া যাচ্ছে। বারি ফোরের তুলনায় আশ্বিনা আমের সরবরাহ বেশি। তবে ধীরে ধীরে এ দুই জাতের আমের সরবরাহও কমে আসছে। ফলে কয়েকদিন ধরে আমের দাম বাড়তি। এরমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় আমের বাজার আরো চড়া।

তাদের দাবি, জ্বালানির দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা পরিবহনের জন্য বাড়তি যে টাকা ব্যয় করছেন, তা গিয়ে যোগ হচ্ছে পণ্যের দামে। এতে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়ে যাচ্ছে। এখানে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বারি ফোর আমের কেজি বিক্রি করছেন ২৪০-২৫০ টাকা। তেলের দাম বাড়ার আগে এ আমের কেজি বিক্রি হচ্ছিলো ১৬০-১৮০ টাকা দরে। আশ্বিনা আমের কেজি এখন ৭০-১২০ টাকা, যা আগে ছিলো ৬০-৮০ টাকার মধ্যে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমের দাম এমনিতেই বাড়তি ছিলো। এখন তেলের দাম বাড়ায় তা আরো উসকে দিয়েছে। গত তিনদিনে বারি ফোর আম কেজিতে ৬০ টাকার ওপরের বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের আসলে কিছু করার নেই। জ্বালানি তেলের কারণে পরিবহন খরচ যা বেড়েছে, তাতে এ দাম বাড়া স্বাভাবিক।’

এদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকার আপেলের (গ্রিন আপেল) কেজি বিক্রি করছেন ৩০০-৩২০ টাকা, যা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগে ছিলো ২৪০-২৮০ টাকা। গালা আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৯০ টাকা, যা আগে ছিলো ২২০-২৪০ টাকা। ফুজি আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, যা আগে ছিলো ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে।

ব্যবসায়ী মিজানুর বলেন, ‘৬-৭ বছর ধরে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করছি। এর আগে কখনো আপেলের এতো দাম দেখিনি। আড়তে আপেলের অস্বাভাবিক দাম। দরদাম করতে গেলে আড়তদার খারাপ ব্যবহার করছেন। অনেক সময় কার্টনে পচা আপেলও থাকে। তখন লোকসান গুনতে হয়।’

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাল্টার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২১০ টাকা, যা আগে ছিলো ১৬০-১৮০ টাকা। নাটফলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৬০ টাকা, যা আগে ছিলো ২০০-২৪০ টাকার মধ্যে। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৬০ টাকা কেজি, যা আগে ছিলো ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।

আঙুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৬০ টাকা কেজি, যা কয়েকদিন আগে ছিলো ৩২০-৩৮০ টাকা। আনারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা আগে ছিলো ২২০-২৫০ টাকা। কয়েকদিন আগে ৫০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া আনারস এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

বাদামতলীর ব্যবসায়ী মো. আকবর বলেন, ‘আম, কাঁঠালের মৌসুম শেষ। আপেল, কমলা ও মাল্টার আমদানি তুলনামূলক কম। ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। সবকিছু মিলে এখন ফলের দাম বাড়তি। ডলারের দাম না কমলে সামনে ফলের দাম আরো বাড়তে পারে।’ জাগোনিউজ ২৪ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়