বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তিত এক ধরনের মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় বন্ড হলো ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এ বন্ডে বিনিয়োগের অর্থ ও অর্জিত মুনাফা আয়কর মুক্ত।
বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশিদের জন্য দেশে বিনিয়োগের সুযোগ খুব একটা বেশি নেই। তাই হাতে গোনা যে কয়টি মাধ্যম রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।
প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এই তিন ধরনের সঞ্চয় বন্ড রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড সম্পর্কে :
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কী?
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড হলো বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তিত এক প্রকার মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় বন্ড। বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অধিকতর লাভে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড নামক সঞ্চয় বন্ড প্রবর্তন করেছে।
যত টাকায় কেনা যায়
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ৫০০ ইউএস ডলার, ১ হাজার ইউএস ডলার, ৫ হাজার ইউএস ডলার, ১০ হাজার ইউএস ডলার ও ৫০ হাজার ইউএস ডলারে কেনা যায়। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ ৩ বছর।
যেভাবে মিলবে
বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশে অবস্থিত যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলি ব্যাংকের শাখা, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি থেকে কেনা যায়।
বিনিয়োগে যে পরিমাণ মুনাফা
এই বন্ডে মেয়াদান্তে ৬.৫০ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলেও মুনাফা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে প্রথম বছরান্তে ৫.৫০ শতাংশ ও ২য় বছরান্তে ৬ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।
যারা কিনতে পারবেন
তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা কিনতে পারবেন।
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা
ঊর্ধ্বসীমা নেই।
অন্যান্য সুবিধা
১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যু-ঝুঁকির সুবিধা রয়েছে ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে। এছাড়া ষান্মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাওয়া যায়। বন্ডের বিপরীতে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে। নমিনি নিয়োগ বা পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়।
এছাড়া ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে। এ বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও অর্জিত মুনাফা আয়কর মুক্ত। বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ইউএস ডলারে পাওয়া যায়। বিনিয়োগকৃত অর্থের মুনাফা বিনিয়োগকারীর অভিপ্রায় অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় পাওয়া যায়, অন্যথায় ডলারে পাওয়া যায়।