শিরোনাম
◈ জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি ও আসন্ন নির্বাচনী রাজনীতি‌তে কোন সমীকরণ কাজ কর‌ছে ◈ পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি, ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্ত পা‌কিস্তা‌নের ক্রিকেটার হায়দার আ‌লি  ◈ পিটার হাসের কৌশলগত ভূমিকা, এলএনজি নিয়ে নতুন সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, যা বললেন রুমিন ফারহানা ◈ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ঋণ সুবিধা চালু, শর্ত সাপেক্ষে মিলবে ৫০% পর্যন্ত ◈ মালয়েশিয়ায় ৭৮৭৩ জন কর্মী প্রেরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আছে যত শর্ত ◈ হোটেলে গোপন সুড়ঙ্গ, ১৪ তরুণ-তরুণী ধরা ◈ আদালতের রায়ের আগেই গোপনে দেশ ছাড়লেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ◈ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে কখন, কোথায় দেখা যাবে ◈ পরিবর্তন আনা হয়েছে যে ৪৬ আসনের সীমানায়

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৭ রাত
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডলারের দাম কমেছে: ব্যাংক খাতে চাপ হ্রাস, রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে প্রবাহ বৃদ্ধি

ব্যাংকগুলোতে আমদানি খাতে ডলারের দাম গড়ে ৬০ পয়সা কমেছে। মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গড়ে প্রতি ডলার বিক্রি করেছে ১২২ টাকা ৪০ পয়সা করে। এর আগে ডলারের দাম বাজারে ছেড়ে দেওয়ার পর এর মূল্য বেড়ে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ওঠেছিল। ব্যাংক খাতে রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে ব্যাংকে ডলারের চাহিদাও কম। যে কারণে এর দাম কিছুটা কমেছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা। পরে তা বেড়ে ১২২ টাকা ৫৫ পয়সায় ওঠে। দিনের শেষে আবার তা ১২২ টাকা ২৫ পয়সায় নেমে আসে। এদিন আন্তঃব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। দামের গড় দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৪০ পয়সা। 

এর আগে আইএমএফের চাপে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডলারের দাম বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাজার তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোরদার তৎপরতা চালায়। যে কারণে বাজারের ওপর ছাড়া হলেও ডলার নিয়ে কেউ কারসাজি করতে পারেনি। 

এদিকে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বাড়ছে রপ্তানি আয়ও। ব্যাংকগুলোর বকেয়া ঋণের দায় পরিশোধের চাপও কমেছে। এখন শুধু আমদানির এলসির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোতেও ডলারের চাপ কম। 

ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার পর কিছু দিন এর মূল্য বেড়ে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ওঠেছিল। এরপর থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে ডলারের দাম কমতে থাকে। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে এর দাম কমছে। ডলারের দাম বাড়ার কারণে টাকার মান কিছুটা বাড়েছে। ফলে টাকার অবমূল্যায়নজনিত মূল্যস্ফীতির ওপর যে চাপ ছিল সেটিও এখন কমতে শুরু করেছে। 

এছাড়া আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণের অর্থ ছাড় করায় রিজার্ভ বেড়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় ডলারের দাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। এসব কারণে দেশের বাজারেও ডলারের দাম কমছে। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়