ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে (এনবিএল) অন্তর্ভুক্ত করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার (৩০ মে) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদপত্রে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে—ছয়টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। তালিকায় ৫টি ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।’
আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এনবিএলকে সম্পৃক্ত করার কোনও সুযোগ নেই।’
এর আগে বলা হয়েছিল, নানা অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে ছয়টি ব্যাংককে একীভূত করে অস্থায়ীভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যমগুলো যেসব ব্যাংকের নাম উল্লেখ করে সেগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।
তবে বিষয়টি খণ্ডন করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রাথমিকভাবে ইসলামী ধারার দুর্বল পাঁচটি ব্যাংকের একীভূতকরণ পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় এনবিএল অন্তর্ভুক্ত নয়।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ‘একীভূতকরণের আগেই সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই, বরং তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।’
কতগুলো ব্যাংক একীভূত হবে—এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, ‘প্রথমে কয়েকটি ব্যাংক দিয়ে শুরু করবো। এরপর পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি—এভাবে চলবে।’ উৎস: বাংলা ট্রিবিউন