নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শনিবার (১৭ মে) পর্যন্ত প্রায় আট মাসে ২৫৩টি শিল্প, ১৯৯টি বাণিজ্যিক ও ৩৬ হাজার ৩টি আবাসিকসহ মোট ৩৬ হাজার ৪৫৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৮০ হাজার ৫২৯টি বার্নার বিচ্ছিন্নসহ ১৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত ও উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ সাভারের আওতাধীন কলমা, টঙ্গাবাড়ী, গরুরহাট, বড় আশুলিয়া, বঙ্গবন্ধু রোড, রাজু মার্কেট, গৌরীপুর, বটতলা, আশুলিয়া, সাভার এলাকার ৬টি স্পটে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে রুটনেক্সট ওয়াশিং ও ইকো লন্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে বাণিজ্যিক কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্বক কিল করা হয়েছে। এতে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৭ টাকার মাসিক গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হবে। এ সময় ৪০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণপূর্বক জব্দ করা হয়েছে।
একইদিনে আশুলিয়ার আওতাধীন চক্রবর্তীটেক, ভবানীপুর, গাজীপুর (আশুলিয়া নেটওয়ার্ক) এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ৬০০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইনের বিভিন্ন ব্যাসের ৫০০ ফুট পাইপলাইন অপসারণ করে মেসার্স নূর জানুমা ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও এআর জিন্স নামে শিল্প সংযোগটি বিচ্ছিন্নপূর্বক কিল করা হয়েছে। এতে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪০ টাকার মাসিক গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস এবং ভিজিল্যান্স বিভাগ গাজীপুর যৌথ পরিদর্শনে ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল, টাঙ্গাইলের গোড়াই-মির্জাপুরে রেগুলেটরে অবৈধ হস্তক্ষেপ শনাক্ত করার কারণে তৎক্ষণিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ভিজিল্যান্স বিভাগের টিম-১ নিউ সিটি ডাইং পরিদর্শনকালে আউটলেট ভালভের চাবির পয়েন্ট থেকে তারের মাধ্যমে মিটার টারবাইন বন্ধ করা হয়। ফলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ-নারায়ণগঞ্জের আওতাধীন বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর গ্রাহক মেসার্স সরদার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।