শিরোনাম
◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:০৯ বিকাল
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:০৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুরি ঠেকাতে ট্যাংক-লরিতে আসছে ট্র্যাকিং ও ডিজিটাল লক

মনজুর এ আজিজ: [২] সারাদেশে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ২৮০০টি নিবন্ধিত ট্যাংক লরি আছে। আর ট্যাংকার আছে ১০০টি। কিন্তু এসব ট্যাংক লরি বা ট্যাংকারে কোন ডিজিটাল লক ও ট্র্যাকিং সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই জ্বালানি তেল পরিবহনে চুরি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাছাড়া এসব লরিতে ভেজাল তেল পরিবহন করলেও তা ধরার কোন উপায় থাকেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিপিসিসহ গ্রাহকরা। সে কারণে চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে আনা হচ্ছে ট্র্যাকিং সিস্টেম ও ডিজিটাল লক।

[৩] জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে এসব ট্যাংক লরি ও ট্যাংকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল লক স্থাপন করা হচ্ছে, যাতে পরিবহনের সময় যেকোন জায়গা থেকে কেউ ট্যাংক লরি খুলে তেল চুরি করতে না পারে। অথবা এই ট্যাংক লরিতে ভেজাল মেশাতে না পারে। এমন এক সিস্টেম করা হচ্ছে-যাতে লক খুললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মালিকের কাছে সংকেত পৌঁছে যাবে। সেখানে যদি একই সঙ্গে ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা থাকে তাহলে মালিক দেখতে পারবেন কোথায় ট্যাংক লরিটি অবস্থান করছে।

[৪] বড় জাহাজ বা রেলের অয়েল ট্যাংকারে করে জ্বালানি তেল ডিপো থেকে ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এর বাইরেও ডিপো থেকে তেল আবার ফিলিং স্টেশনে স্থানান্তর করে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়। দেশের পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, ওজনে কম দেওয়ার পাশাপাশি ভেজাল তেলও বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ভেজাল তেল বিক্রি করার বিষয়টিকে জ্বালানি বিভাগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।

[৫] গ্যাসক্ষেত্রের উপজাত কনডেনসেট (বর্ণহীন অথবা ঈষৎ হলুদ বর্ণের তরল হাইড্রোকার্বন) পেট্রোল এবং অকটেনে মিশিয়ে ব্যবহার করার অভিযোগ বেশ পুরনো। তবে পেট্রোবাংলা ও বিপিসি কঠোর হওয়ায় পেট্রোল পাম্প মালিকরা এই ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তবে ইদানিং আবার জ্বালানি তেলে ভেজাল পাওয়ায় এবার তেলের ট্যাংকারগুলোকে নজরদারিতে আনার চিন্তা করছে সরকার।

[৬] এর আগে জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে ট্যাংক লরিতে ডিজিটাল লক ও ট্রাকিং সিস্টেম সংযোজন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জ্বালানি সচিব নূরুল আমিন অবিলম্বে ট্যাংক লরিতে ট্রাকিং সিস্টেমের সঙ্গে ডিজিটাল লক স্থাপনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্যাংক লরিতে এই পদ্ধতির সংযোজন করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ট্যাংক লরিগুলোও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে।

[৭] সম্প্রতি দেশের জ্বালানি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জিপিএস ম্যাপিং করেছে সরকার। জ্বালানি তেল ও সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার জন্য এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে জ্বালানি পরিবহনকে ডিজিটালাইজেশন করার প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টগণ। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এমএএ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়