মাজহারুল ইসলাম: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব অনুযায়ি, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের টনপ্রতি দাম ছিল এক হাজার ৪৬৪ ডলার, এক মাস আগে যা ছিল এক হাজার ৯৭০ ডলার। অর্থ্যাৎ অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে। শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, তা এখন কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে কমছে চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি এবং ডালের দামও।
বিশ্ববাজারে মূল্য কমে যাওয়ার পরও দেশের বাজারে দাম না কমায় অবিলম্বে দেশে ভোজ্য তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ভোজ্য তেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়, এলসি কমিশন ও এলসি মার্জিন প্রত্যাহারে পর এপ্রিলে এসব সুবিধা নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানি করেছেন বড় মিল মালিক ও আমদানিকারকরা।
৫ মে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সরকার পুনঃনির্ধারণ করে। ওই সময়ে সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এরপর বিগত ৯ জুন কোনো কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ১৮০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ টাকা ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ১৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক লিটারের খোলা পাম অয়েলের (সুপার) দাম মিলগেটে ১৫৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫৮ টাকা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সয়াবিনের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি ৫-৭ টাকা।