আব্দুল্লাহ আল আমীন: [২] ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্কে মিশুক রিক্সা চালক হাসেম হত্যাকাণ্ডে চার অভিযুক্তসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] সোমবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পৃথক এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্পার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ লুণ্ঠিত অটোরিকশা উদ্ধার করে।
[৪] গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আলমগীর, রফিকুল হাসান তপু, রাকিব হাসান ওরফে রাকিবুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু। এছাড়া চালককে হত্যাশেষে চুরি করা অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রির সঙ্গে জড়িত আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] তারা হলেন- ফরহাদ, সুমন শেখ এবং আলম। পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
[৬] তিনি আরো জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্ক সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা এ লাশটিকে তার আত্মীয়-স্বজনরা শনাক্ত করেন। তার নাম হাসেম মিয়া। তিনি দাপুনিয়া কলাপাড়ার মৃত জহির উদ্দিন ওরফে জহুর উদ্দিনের ছেলে।
[৭] এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
[৮] পুলিশ সুপার (তার) দিকনির্দেশনায় ডিবির ওসি ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে নামেন।
[৯] পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আলমগীর, রাকিবুল হাসান তপু, রাকিবুল, আরাফাত হোসেন বাবু ও পলাতক অপর একজনসহ ৫ জন একত্রে শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ মোড় স্মৃতিসৌধের মাঠে বসে একটি অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক রাত ১২ টার দিকে তারা শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ থেকে হাসেমের অটোরিকমা ভাড়া করে। পরে তাদের নিজেদের আরেকটি অটো নিয়ে হাশেমের মিশুকসহ সার্কিট হাউজ মাঠে নিয়ে যায় যায়।
[১০] তারপর সার্কিট হাউজ মাঠে দাঁড়িয়ে চালক হাসেমের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা এলোপাথাড়ি মারপিট করে বেড়িবাঁধের নিচে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় চক্রটি হাশেমকে হাত পা বেঁধে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার আলমের কাছে নগদ ৩৪ হাজার টাকায় মিশুক বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে।
আপনার মতামত লিখুন :