শহীদুল ইসলাম: আগামী এপ্রিল মাসে কানাডাতে পিএইচডি করতে যাওয়ার কথা ছিলো আব্দুল্লাহ আল সোহানের। কিন্ত কানাডা যাওয়ার আগেই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে লাশ হয়ে ফিরতে হলো। ঢাকা পোস্ট
গত মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ীর মানিকনগর এলাকায় সোহন তার স্ত্রী দোলার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন বাড়িওয়ালা জামালসহ তার সহযোগিরা সোহানকে সন্দেহ করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে বুধবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত সোহানের বাবা ইউনুস খান বলেন, সম্প্রতি আমি জানতে পারি আমার ছেলে দোলা নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলে ওই মেয়ের বাসায় যায়। পরে সন্দেহ করে আমার ছেলেকে মারধরে করে বাড়িওয়ালা জামালসহ কয়েকজন হত্যা করে। ওই মেয়ের সামনে নির্যাতন করে সোহানকে মেরে ফেলা হলো, অথচ ওই মেয়েটি সোহানকে বাঁচানোর কোন চেষ্টাই ছিলো না।
তিনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বলেন, আমার ছেলে যদি বিয়ে না করে ওই বাসায় যায়, তাহলে পুলিশকে খরব দিতে পারত। অথবা তাদের উদ্দেশ্য যদি খারাপ থাকে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে আমার ছেলেকে ছেড়ে দিতে পারত। কিন্তু তারা তা না করে আমার একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলল। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
সম্প্রতি সোহান ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স শেষ করেছে। আগামী এপ্রিলের ২২ তারিখে পিএইচডি করার জন্য কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। সে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। দেশের বাইরে চলে যাবে সেজন্য কয়েকদিন আগে সে চাকরিটা ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর মানিকনগরে মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ওই যুবককে মারধর করে হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।