মাসুদ আলম: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। বুধবার মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার র্যাব-২-এর এএসপি শিহাব করিম বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। এরই পরিপেক্ষিতে র্যাব-২ এই চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমি দস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া তারা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে ।
এমএ/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :