ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুলতান উল আলম লিংকন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সুলতান মোশাররফপুর এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবদুর রশিদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোশাররফপুর এলাকার করিম বক্সের ছেলে শাহিন মল্লিক ও রাজ্জাক মল্লিকের সঙ্গে সুলতান উল আলম লিংকনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুলতান জখম হন। তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
নিহত লিংকন খন্দকার বাবু মিরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোশাররফপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ও মুদি খানার দোকানে ব্যবসা করতেন। তিনি সিঙ্গাপুরে থাকতেন। গত এক বছর আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন।
মিরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন লিংকনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের নিকট আত্মীয় শাহিন জানান, বিভিন্ন সময়ে শাহিন মল্লিক ও রাজ্জাক মল্লিক লিংকনকে ভয় ভীতি দিয়ে টাকা-পয়সা নিতো। দুই একদিন আগে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে শাহীন, রাজ্জাক, ইব্রাহিম, পিয়াস ও শিশির। লিংকন টাকা দিতে রাজি না হলে এতে তারা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালায়। এর আগেও অনেকবার লিংকনের উপর তারা হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। এ হত্যার বিচার চাই।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সুলতানকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেছে। এই ঘটনা এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :