শিরোনাম
◈ ফ্রা‌ন্সের লিও শহ‌রের কসাই থেকে গাজার কসাই: ইতিহাসে বারবার অপরাধীদের বাঁচিয়েছে আমেরিকা ◈ রিজার্ভে বড় সাফল্য: আইএমএফের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ, প্রবাসী আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি! ◈ আদানির বকেয়ার সব টাকা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ◈ মাঠে ছড়িয়ে থাকা লেবু ও  ডিম দে‌খে ম্যাচ খেলতে আসা ‌ক্রিকেটাররা ভয়ে পালালেন ◈ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আপত্তি মোদি সরকারের! ◈ উনি ক্লাসে বাজে ঈঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন ◈ এবার নিউ ইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী মামদানিকে গ্রেপ্তারের হুমকি ট্রাম্পের! তীব্র প্রতিক্রিয়া ◈ বউ পেটানোয় শীর্ষে খুলনা ও বরিশালের মানুষ: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ভিডিও) ◈ ক‌ষ্টের জ‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ দুপু‌রে এ‌শিয়ান কাপ বাছাই‌য়ে স্বাগ‌তিক মিয়ানমা‌রের বিরু‌দ্ধে লড়‌বে বাংলাদেশ নারী দল

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৩:০১ রাত
আপডেট : ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এরশাদ শিকদারের সেই ‘স্বর্ণকমল’

ছবি: সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল সেই দোতলা বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বাড়িটির একাংশের জানালা, ছাদ ও দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলছেন শ্রমিকরা। এতে নতুন করে জনমনে আগ্রহ তৈরি করেছে বাড়িটি।

প্রায় দুই ডজন হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজি, দখল ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে ১৯৯৯ সালে গ্রেফতার হন এরশাদ শিকদার। ২৪টি হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন তারই দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালে ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এদিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মজিদ সরণিতে এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ নিয়েও নানা কল্পকাহিনি ছড়িয়ে আছে। বাড়িটিতে গোপন কুঠুরি ও অস্ত্রভান্ডারের কথাও শোনা যায়। ওই বাড়ির বিভিন্ন গোপন স্থানে নগদ কয়েক কোটি টাকা লুকানো ছিল। প্রায়ই জলসা বসত বাড়িতে। শহরে নামিদামি ব্যক্তিরা যেতেন সেখানে। এরশাদ শিকদারের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষের আগ্রহের জায়গা ছিল ‘স্বর্ণকমল’। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ বাড়িটি দেখতে আসত। জানা গেছে, এরশাদ শিকদার জীবিত থাকা অবস্থায় কেডিএর ১০ কাঠার এ প্লটটি নিজের ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমের (বড় স্ত্রী খোদেজার মা) নামে কেনেন। পরে ফরিদা বেগম তার মেয়ে খোদেজার) নামে ৫ কাঠা জমি হেবা দলিল করে দেন। আর এরশাদ শিকদারের মৃত্যুর পর তার নামের বাকি ৫ কাঠা সম্পত্তির মালিক হন দুই স্ত্রীসহ পাঁচ ছেলেমেয়ে। এরশাদ শিকদারের ছেলে কামাল শিকদার জানান, বাড়ির ১০ কাঠা সম্পত্তির মধ্যে তার মা খোদেজার নামে থাকা ৫ কাঠা জমি আলাদা করা হচ্ছে। বাঁ পাশের ফাঁকা জমিসহ মূল ভবনের একাংশ ও মূল ভবনের পেছনে আরও একটি ছোট ভবন ভেঙে ৫ কাঠা জমি আলাদা করে ডেভেলপারকে দেওয়া হবে। বাকি ৫ কাঠা জমিতে মূল ভবনটি আগের মতোই থাকবে। তিনি বলেন, কেডিএর অনুমতি নিয়ে বাড়িটি দুটি হোল্ডিংয়ে ১৩৫ ও ১৩৫ (ক) নামে আলাদা করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত বাড়িটি ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপর অনেকেই বাড়িটি শেষবারের মতো দেখতে ছুটে আসেন। আবার অনেকে এ বাড়ি না ভেঙে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে সংরক্ষণের দাবিও জানান।

এমএএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়