এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়াতকে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশুকন্যা আয়াতের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার হয়েছে। (৩০ নভেম্বর) আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ে স্লুইসগেট এলাকা থেকে আয়াতের দেহের কিছু খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, খণ্ডাংশ দুটি আয়াতের পা।
এর আগে আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে দেহ ছয় টুকরো করে খালে-সাগরে ভাসিয়ে দেয় খুনি আবির আলী। আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আয়াতের খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে ছয় দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযানের ষষ্ঠ দিনে সাগর পাড়ে মিলেছে শিশু আয়াতের খণ্ডিত দেহের অংশ।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, আজ ষষ্ঠদিনের মতো অভিযানে আয়াতের খণ্ডিত মাংসপিণ্ড আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
গত ২৮ নভেম্বর রাতে শিশুকন্যা আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে মরদেহ ছয় টুকরো করে খালে-সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার রহস্য উদঘাটনে অভিযুক্ত আবির আলীর পিতা-মাতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। মূলত অপহরণ ও খুনের পর মরদেহ ছয় টুকরো করার কারণ বের করতেই পিতা-মাতাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় পিবিআই।
গত ২৫ নভেম্বর নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সেই নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার আবির আলী স্বীকারও করেন মুক্তিপণ দাবির জন্যই আবির আলী তার বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করে।
মেয়েটি চিৎকার করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরে লাশ গুম করতে আয়াতকে করা হয় ছয় টুকরো। আয়াতের খণ্ডিত মাংসপিণ্ডগুলোও ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাগরে। তবে আসামি গ্রেপ্তারের পর খুনের ঘটনায় জড়িত এবং সব দায় স্বীকার করে। নিখোঁজের পর দিন ইপিজেড থানায় দায়ের হওয়া জিডি এখন মামলা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :