মাসুদ আলম : ২০১৪ সালে রাজধানীর রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল হোসেন তারেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বলছে, সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তারেক।
ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিল কামরুল ইসলাম এবং তানভিরুজ্জামান রনি। তাদের সঙ্গে রানার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডিসের ক্যাবল কেটে দিত এবং উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ লাগত।
এরই জেরে গত ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রানা মোটরসাইকেলযোগে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে বাটার গলির মুখে গতিরোধ করে মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারেক ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া অন্যরা।
এ সময় স্থানীয় লোকজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছোড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত শেষে ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। এখনো ৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
তারেক যশোরের একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর ২০০৯ সালে ঢাকায় আসে। স্কুল জীবন হতেই গাঁজায় আসক্ত।
তারেকের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর এলাকায়। ২০১১ সাল থেকে হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পর্যন্ত তারেক সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
চাকরির পাশাপাশি তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সিও বলেন, ২০১১ সালের তারেক মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
তার গ্রেপ্তারের পেছনে রানা গ্রুপের হাত ছিল বলে ক্ষোভ তৈরি হয় তারেকের। সেই ক্ষোভ এবং ডিস মালিকের নির্দেশে রানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় তারেক।
তিনি আরও বলেন, রানাকে হত্যার পর তারেক নাম পাল্টে তাহের পরিচয়ে চাঁদপুর এলাকায় গিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। এরপর যশোর গিয়ে মাদক ব্যবসায় জড়ায়।
২০১৯ সালে ঢাকায় এসে বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত কার্টুন সংগ্রহ করে বিক্রি করার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে।
মাদকসহ একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও নিজের নাম তাহের ও বাবার আব্দুর রহিম হিসেবে পরিচয় দেয়।
ফলে সে একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও রানা হত্যা মামলার দায় হতে রক্ষা পেয়ে যায়। তার নামে হত্যা ও মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে। সম্পাদনা: আল আমিন
আপনার মতামত লিখুন :