শিরোনাম
◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে ◈ আমি ইন্ডিয়া জোটেই আছি: মমতা  ◈ হিজবুল্লাহ’র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে: গ্যালান্ট ◈ কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের (ভিডিও) ◈ ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, ৮ জনের প্রাণহানি ◈ তাপপ্রবাহ কমে বৃষ্টি ও ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ◈ যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি, সঙ্গে ডেপুটি গভর্নর

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৪৩ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৪৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুলাভাইকে হত্যার পর নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপন, অতঃপর গ্রেপ্তার

শাহজাদা এমরান, কুমিল্লা: [২] দুলাভাইকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৬ বছর আত্মগোপনে থাকার পর মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। 

[৩] শনিবার দুপুরে তথ্যটি জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা। 

[৪] মিজানুর রহমান উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। 

[৫] তিনি আদালতের রায়ের পর থেকে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। 

[৬] থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামের মৃত ইউসুফ ভুঁইয়ার ছেলে ইকবাল আহাম্মদ ভুঁইয়া স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানসহ পাশাপাশি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। ইকবাল পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। তার জমানো অর্থগুলো স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট জমা ছিল। ২০০৮ সালে ইকবাল গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তার জমানো অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট চাইলে এনিয়ে তাদের বিরোধ শুরু হয়। ওই বছরের ৩ অক্টোবর ইকবালকে চট্টগ্রামের ভাড়া বাসায় স্ত্রী রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমান কৌশলে হত্যা করে পরদিন ৪ অক্টোবর সকালে একটি মাইক্রোবাস যোগে মরদেহ গ্রামের বাড়ি এলাকার রাস্তার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা মরদেহটি পেয়ে দেখে শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

[৭] এ ঘটনায় ইকবালের ভাই একরাম হোসেন বাদি হয়ে সুফিয়া আক্তার রিয়া ও মিজানুর রহমানকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০০৯ সালে মিজানুর রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০১২ সালে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৭ সালে ৭ আগস্ট আদালত বিজ্ঞ আদালত মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এরপর থেকে তিনি নিজের নাম মিজানুর রহমান থেকে আবদুল কাদের পরিচয় দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী সদর একটি বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। 

[৮] এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের সাজা পরোয়ানা থানায় আসার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন বসবাস করে আসছিলেন। থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার শেষে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে। 

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়