মাসুদ আলম: [২] রাজধানীর পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় চাঞ্চল্যকর রিহান ইসলাম ওরফে পাভেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেপ্তার হয়েছে- রায়হান বাবু (২৪), সোহেল তোতা মামা (২৪) ও বাচ্চু ওরফে কাজল বাচ্চু (২৩)। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। বুধবার টাঙ্গাইল, বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] এর আগে একই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানার পুলিশ। এ নিয়ে মোট আটজন গ্রেপ্তার হলো। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাজমুল ও হানিফকে খুঁজছে পুলিশ।
[৪] বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পূর্বশত্রুতা, চাঁদাবাজি ও মাদকের জের ধরে হত্যার শিকার পাভেল। ভুক্তভোগী ও মূল অভিযুক্ত বন্ধু হলেও তাদের মধ্যে শত্রুতা ছিল।
[৫] তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গ্রুপিং নিয়ে পাভেল ও হাবিবের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। সেসময় পাভেল হাবিবের হাতে কোপ দিয়েছিল। ওই ঘটনায় ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলাও হয়। পাভেল জেল খাটলেও হাবিব শত্রুতা ভুলে যায়নি। জেল থেকে বের হলে পাভেলকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে হাবিব । ১৪ এপ্রিল তাজমুল মোটরসাইকেলযোগে পাভেলকে পল্লবীতে নিয়ে যায়। হাবিবের দুই ভাই হানিফ ও আনিছসহ কয়েকজন মিলে পাভেলকে কুপিয়ে হত্যা করে।
[৬] ১৬ এপ্রিল রাতে পাভেল হত্যায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করে পল্লবী থানা পুলিশ। পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মূল পরিকল্পনাকারী হাবিব। তাজমুল মাদক সেবনের জন্য গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে বাড্ডার পাঁচতালা বাজার এলাকার বাসা থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে পাভেলকে পল্লবীতে নেয়। এরপর গণপূর্তের পুকুরের উত্তরপাড়ে মাদক সেবন করেন পাভেল। সেখানে তাকে হত্যা করে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। চাকু ও ছুরি দিয়ে তার পেট ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪৫টি আঘাত করা হয়। পাভেল বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তবে মায়ের ভাষ্য মতে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন পাভেল। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :