সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাঈদ আহাম্মদ ওরফে প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ও তার প্রেমিকা মোসা. রিতা। ফরিদপুরের সদরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
[৩] ডিবি পুলিশ বলছে, সাঈদ একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার আগের নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। ইতোপূর্বে চাকরি করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে রয়েছে তার প্রথম স্ত্রী বাইতুন্নেছা লতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার। পরে তৃতীয় বিয়ে করার জন্যই ৩৩ লাখ টাকা চুরি করেন। টাকা নিয়ে দুইজনে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
[৪] গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের ডিসি (এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান বলেন, রাজধানীর কোতয়ালী থানায় ৩৩ লাখ টাকা চুরি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় দুইজনকে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ট্রাঙ্ক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা।
[৫] মশিউর রহমান বলেন, রাজধানীর ইসলামপুরে ‘নাশওয়ান ফ্যাশন’ লেডিস কাপড় বিক্রির একটি প্রতিষ্ঠান। অভিজ্ঞতা এবং সততা দেখিয়ে ২০২২ সালে এখানে চাকরি নেন সাঈদ। গত ২৪ মার্চ দোকানে বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা ব্যাগে ভরে আরেকজন কর্মচারীকে সাথে নিয়ে সাঈদ কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকে যান জমা দিতে। পথে কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই ব্যাংকে প্রবেশ করেন। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে চলে যান গাজীপুরে প্রেমিকা রিতার কাছে। সেখান থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যান নরসিংদী। আবার সেখান থেকে বগুড়া গিয়ে ব্যাপক কেনাকাটা করে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেতুলিয়ায় যান তারা। সেখানে আমোদ ফুর্তি করে দুই হাতে খরচ করেন চুরি করা টাকা। পরে সেখান থেকে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে যান সাঈদ।
[৬] পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর বলেন, দোকান মালিকের বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে সাঈদের পরকীয়া সম্পর্ক এবং নারী লোভের কাছে। সাঈদ আগে দুটি বিয়ে করেছেন। এরপরও তিনি আবারও আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করে আমোদফূর্তি করা ও ঘুরে বেড়ানোর জন্যই টাকাগুলো চুরি করেছেন সাঈদ। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রেমিকাকে নিয়ে পঞ্চগড়ের বাংলা-বান্দা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেখান দিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়ে যশোর দিয়ে যাওয়ার পথে ফরিদপুর থেকে প্রেমিকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৭] পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রিতার বাড়ি ফরিদপুরের ভাংগা এলাকায়। ব্যক্তি জীবনে তিনিও বিবাহিতা। স্বামীর থেকে আলাদা থেকে সাঈদের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। রিতা নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :