শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৪, ০৭:০৫ বিকাল
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৪, ০৭:০৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রুপ লিডারসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪৯ সদস্য গ্রেপ্তার, দেশীয় অন্ত্র উদ্ধার

সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী, মোহাম্মাদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া ও তেজগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ এবং র‌্যাব-৪।

[৩] গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কিশোর গ্যাং রিংকু গ্রুপ ও অনিক গ্রুপের লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকু এবং হাসিবুল হাসান অনিক, মো. ইসমাইল ওরফে এফডিসি মুন্না, কিং জামাল গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. জামাল হোসেন, কিং মোশারফ গ্রুপ ও আপনা ভাই গ্রুপের সদস্যরা রয়েছে। 

[৪] মঙ্গলবার র‌্যাব-২ জানিয়েছে, গত ১১ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের হোতাসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

[৫] গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা নাখালপাড়া, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধঁ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো। তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ বর্ণিত এলাকাসমূহে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। 

[৬] র‌্যাব-২ জানিয়েছে, সোমবার মিরপুর ও পল্লবী এলকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং রিংকু ও অনিক গ্রুপের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

[৭] গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, মিরপুর এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আরএম রিংকু লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মিরপুর-২ এর আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। লিডার রিংকু আরএম রিংকু এর বিরুদ্ধে মিরপুর, ফরিদপুর নগরকান্দা থানায় মাদক, দস্যুতা, চুরি, মারামারি এবং খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত ৪টিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

[৮] কিশোর গ্যাং অনিক গ্রুপে লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা পল্লবীর বাউনিয়াবাদসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। অনিক গ্রুপের লিডার হাসিবুল হাসান অনিকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ৪টিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

[৯] র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন গাড়ীর হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসকে/কে/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়