এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তরে (এফএঅ্যান্ডসিএও) টেন্ডার ছাড়াই ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে কসমোপলিটন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ কোটি টাকার চেক নিয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
[৩] বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই শাখার ৭ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
[৪] চট্টগ্রামের বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তা (ডিএফএ) জয়শ্রী মজুমদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হিসাব শাখার এও এডমিন সোহাগ মির, একাউন্টেন্ট আরসি মো. আব্দুল আল আসিফ, ডিএফএ সদর সুবির চাকমা। তদন্ত কমিটির সদস্য অ্যাকাউন্ট্যান্ট আরসি মো. আব্দুল আল আসিফ বিষয়টি জানিয়েছেন।
[৫] কসমোপলিটন কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী নাবিল আহসান চৌধুরী বলেন, আমাকে কাজের টাকা বাবদ রেলওয়ে থেকে চারটি চেক দেওয়া হয়েছে। আমি সেই চেকগুলো নগদায়ন করেছি। এরপর হঠাৎ রেল কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে ৯৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি চেক ফেরত চেয়ে চিঠি দেয়। সেখানে উল্লেখ আছে, সোহাগ আলী নামের এক ব্যক্তি চেকটি ৩১ ডিসেম্বর নগদায়ন করেছেন। কিন্তু আমার এখানে সোহাগ আলী নামে কোনো ব্যক্তি নেই।
[৬] সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- হিসাব কর্মকর্তা মামুন হোসেন, আবু নাছের, হিসাব রক্ষক/সিপিবি শিমুল বেগম, হিসাব রক্ষক প্রশাসন ও সংস্থাপন সৈয়দ সাইফুর রহমান, অডিটর পবন কুমার পালিত, জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম ও অফিস সহায়ক মাকসুদুর রহমান।
[৭] গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা/সার্বিক সাইদুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট ও খরচের হিসাব রিকনসিলেয়েশনকালে দেখা যায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেসার্স দি কসমোপলিটন কর্পোরেশন ঢাকার নামে তাদের ৬ টি বিলের অতিরিক্ত ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি সন্দেহজনক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা গুরুতর আর্থিক অনিয়মের পর্যায়ভুক্ত। উক্ত বিল পাশ ও চেকের মাধ্যমে পরিশোধের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকায় বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সম্পাদনা: মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :