ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ: [২] জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে মহেশপুর থেকে বিরল প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী সান্ডাসহ রাজ্জাক ওরফে রাজু (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৩] ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজীম-উল-আহসান এর নির্দেশনা মোতাবেক জেলায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলার মহেশপুর এলাকায় পুলিশী চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে মহেশপুর মান্দারতলা ছোট ব্রীজের উপর অবস্থান করে।
[৪] সেসময় জলুলীর দিক হইতে মেইন গ্লাসে “বি.ডি বন্ধন খুলনা-জলুলী” লেখা বাস যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৬৮১ আসতে দেখলে থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। পরে বাসের ভেতর পেছনে বাম পাশের সিটে একজন ব্যক্তির নিকট থাকা একটি কফি কালারের ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে বন্যপ্রানী সান্ডা দেখতে পেয়ে রাজ্জাক ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার গাড়াখোলা (ছোট হিজলী) গ্রামের আকবর কবিরাজের পুত্র।
[৫] আটককালে তার কাছ থেকে ১৭ টি বিভিন্ন সাইজের ধূসর বর্ণের বন্যপ্রানী সান্ডা পাওয়া যায়। যার মোট ওজন প্রায় ০৪ (চার) কেজি। সান্ডা এর ইংরেজি নাম। যার প্রত্যেকটির বাজার মূল্য আনুমানিক ৭৫ হাজার টাকা এবং সর্বমোট মূল্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
[৬] আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হইতে সান্ডা সংগ্রহ করে মাগুরা ফরিদপুর এলাকায় বিক্রয় করে। সান্ডা বন্যপ্রানী হওয়ায় জব্দকৃত বন্যপ্রাণী সান্ডা এবং আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
[৭] আটককৃত আসামী বন্যপ্রাণী সান্ডা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে বন্যপ্রানী গুলো নিরাপদ জায়গায় অবমুক্ত করা সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস