শিরোনাম
◈ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করুন, স্বৈরাচার পতন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ◈ মোহাম্মদ এ আরাফাতের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা, আহত এক ◈ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করে হবে আসন ভাগাভাগি: আমু ◈ ৩৩ ওসির বদলির তালিকা নির্বাচন কমিশনে, ডিএমপিতে রাখার প্রস্তাব ◈ সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত ◈ জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা দুলু ◈ ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে আরো ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থা ◈ সৌদি বিনিয়োগ বিষয়ক উপ-মন্ত্রীসহ ৩১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় ◈ দলীয় প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ইসির শাস্তি মেনে নেবে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের    ◈ আদালত-বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৩, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৩, ১১:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী গ্রেপ্তার

দিলু বেগম

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার পর ঘুমন্ত স্বামীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী দিলু বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রায়ের ১ মাস ১৫ দিন পর শুক্রবার (২৫ মে) রাতে ফেনীর বিজয়সিংহ সার্কিট হাউজ এলাকার একটি তিনতলা বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিলু ফেনীর দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে। 

রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আসামি দিলুকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসীম উদ্দিন বলেন, গত ১১ এপ্রিল স্বামী মহরম আলী মোহনকে হত্যার দায়ে দিলুর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো একবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের সময় দিলু পলাতক ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ভিকটিম মোহন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসেরবাগ গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে। মোহন কাজের সুবাদে ফেনী থাকতেন। তিনি নেশা করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী দিলুর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে তিনি ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে আসেন। ওই রাতে দিলুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পরে পাঁচ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ঘুমন্ত মোহনকে হত্যা করেন। ঘটনার রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১টার দিকে মোবাইলফোনে তিনি ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান। মরদেহের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ ভিকটিমের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল জলিল আদালতে দিলুকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। প্রায় ১১ বছর মামলার রায় দেন আদালত। সম্পাদনা: হ্যাপী

প্রতিনিধি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়