রহিদুল খান, যশোর: ফুলকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি। তা অসময়ে চাষ করে লাভবান হয়েছেন আলী হোসেন। তিনি ২৫ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করে খরচ বাদে লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। আলী হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৬ সালে নিরাপদ (বিষমুক্ত) সবজি উৎপাদনে জাতীয় কৃষি পুরস্কার লাভ করেন।
শুক্রবার সরেজমিনে বোধখানা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আলী হোসেনের ক্ষেতে তারার মতো ফুটে রয়েছে ফুলকপি। গাছের চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলো অসময়ে চাষ করা কোনো সবজি। শীতকালীন এ সবজির অসময়ে যে ফলন হয়েছে, তাতে মূল মৌসুমকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক আলী হোসেন বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ২৫ শতক জমিতে তিন হাজার ৫০০ ফুলকপির চারা রোপণ করি। এর মধ্যে চারশো চারা মারা যায়। এসব চারা রোপণ, ক্ষেতে সেচ দেয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক দেয়াসহ ৫৫ দিনে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়।
আরো বলেন, গাছের বয়স ৫৫ দিন হলে ফুলকপি কাটা শুরু করি। প্রতিটি ফুলকপি সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজন হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে ফুলকপি তুলছি। অসময়ের কারণে এ সবজি বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ফুলকপি পাইকারি বিক্রি করছি ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত এ কৃষক বলেন, দুই সপ্তাহে ৬৮ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। ক্ষেতে যে পরিমাণ ফুলকপি রয়েছে, তাতে অন্তত এখনও ২৫-৩০ হাজার টাকা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। বোধখানা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, আলী হোসেন পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ফুলকপি শীতকালীন সবজি। এটা অসময় চাষ করলে বেশি দাম পাওয়া যায়। আলী হোসেন একজন আদর্শ কৃষক। তিনি বারোমাস নিত্যনতুন চাষ করেন।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :