শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:২১ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাষ ভালো হলেও দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

পেঁয়াজ

সনতচক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন হালি পেঁয়াজ। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় এবার ফরিদপুরে পেঁয়াজের আবাদ ভালো হয়েছে, ফলে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে পেঁয়াজে। কিন্তু তাতে কৃষকের মুখে হাসি নেই। তাদের অভিযোগ, বাজারে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তাতে ন্যায্যমূল্য তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই উঠছে না এছাড়াও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকায় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।

জানা গেছে, মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল। সারা দেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে ফরিদপুর জেলা। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ২০ শতাংশ উৎপাদন হয় এ জেলা থেকে। জেলার সব উপজেলায় কমবেশি পেঁয়াজের আবাদ হলেও বোয়ালমারী, সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়।

ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পেঁয়াজ চাষে বিখ্যাত। প্রতিটি মৌসুমের উৎপাদিত পেঁয়াজই এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষকদের সারা বছরের জীবিকার জোগান দিয়ে থাকে। তবে দাম কমের কারণে প্রতি বছরই কমছে পেঁয়াজের আবাদ। 

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪০ হাজার ৭৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৯৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। আর চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে ৩৫ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে ‘হালি পেঁয়াজ’র আবাদ করা হয়েছে। গড়ে প্রতি বছরই কিন্তু পেঁয়াজের আবাদ কমছেই। গত বছরের মতো এবং এবারও শুরুতে যে দাম দেখা যাচ্ছে তাতে আগামীতে পেঁয়াজের আবাদ আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ জেলায় মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজের আবাদ করেন চাষিরা। এখন ক্ষেত থেকে হালি পেঁয়াজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পুরুষেরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে এনে বাড়ির উঠানে নামাচ্ছেন। নারীরা সেই পেঁয়াজ পরিস্কার করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন চলতি মৌসুমে জেলায় পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। কিন্তু পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ে হতাশ কৃষকেরা।

কানাইপুর, সাতৈর, ময়েনদিয়া, সালথা, বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিজেদের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলে হাটে বিক্রি করতে এনেছেন চাষিরা। হাটের চারদিকে পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। পাইকার ব্যাপারীদের হাঁকডাকে বাজার সরগরম। তবে, ব্যাপক সরবরাহে দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সামনে নিয়ে বসে আছেন বিষণ্ণ মনে। দরদামের হাঁকাহাঁকিতেও নেই খুব বেশি আগ্রহ।

পেঁয়াজ চাষিরা জানান, গুণগত মানে সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কৃষকদের দাবী তাদের প্রতি মণ পেঁয়াজে লোকসান যাচ্ছে ২০০ -৩০০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজ উৎপাদন করতে তাদের যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, তাতে করে পেঁয়াজের মূল্য বাজারে কম হওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসান হচ্ছে বেশি। চাষিদের দাবি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে পেঁয়াজ চাষিদের লোকসান আরও বাড়বে।

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের পেঁয়াজ চাষি হাচান বিশ্বাস বলেন, গত বছর প্রায় ৫ একর জমিতে হালি পেঁয়াজের চাষে সব মিলিয়ে প্রতি একর জমিতে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও দাম ভালো না পাওয়ায় বেশ লোকসানে পড়তে হয়। এবারও লাভের আশায় প্রায় ৫ একরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। এতে গতবারের মতো এবারও লোকসান গুনতে হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়