শিরোনাম
◈ পেলেকে ছাড়িয়ে গে‌লেন, রেকর্ড ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি মেসির কার্ড ◈ মন্ত্রীপাড়া থেকে গ্রেফতার সেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতমার্কিন নাগরিক এনায়েত রিমান্ডে ◈ কোটিপতি তানিয়া বিয়ে করতে চান বেকার ছেলে, স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন ◈ কাতার একা নয়, তাদের পাশে আছে পুরো আরব ও ইসলামি বিশ্ব: আরব লীগ ◈ ওসি নিয়োগে নতুন নীতিমালা: যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ ◈ পুলিশে ফের বড় রদবদল ◈ সীমানা পুনর্বিন্যাসে ভাঙ্গায় সহিংসতা: থানাঘেরাও, গাড়ি ভাঙচুর ◈ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা ◈ প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে কীভাবে ভোট দেবেন, জানালেন ইসি ◈ তারুণ্যের শক্তি আমাদের জাতির চালিকাশক্তি : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:২১ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাষ ভালো হলেও দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

পেঁয়াজ

সনতচক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন হালি পেঁয়াজ। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় এবার ফরিদপুরে পেঁয়াজের আবাদ ভালো হয়েছে, ফলে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে পেঁয়াজে। কিন্তু তাতে কৃষকের মুখে হাসি নেই। তাদের অভিযোগ, বাজারে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তাতে ন্যায্যমূল্য তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই উঠছে না এছাড়াও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকায় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।

জানা গেছে, মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল। সারা দেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে ফরিদপুর জেলা। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ২০ শতাংশ উৎপাদন হয় এ জেলা থেকে। জেলার সব উপজেলায় কমবেশি পেঁয়াজের আবাদ হলেও বোয়ালমারী, সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়।

ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পেঁয়াজ চাষে বিখ্যাত। প্রতিটি মৌসুমের উৎপাদিত পেঁয়াজই এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষকদের সারা বছরের জীবিকার জোগান দিয়ে থাকে। তবে দাম কমের কারণে প্রতি বছরই কমছে পেঁয়াজের আবাদ। 

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪০ হাজার ৭৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৯৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। আর চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে ৩৫ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে ‘হালি পেঁয়াজ’র আবাদ করা হয়েছে। গড়ে প্রতি বছরই কিন্তু পেঁয়াজের আবাদ কমছেই। গত বছরের মতো এবং এবারও শুরুতে যে দাম দেখা যাচ্ছে তাতে আগামীতে পেঁয়াজের আবাদ আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ জেলায় মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজের আবাদ করেন চাষিরা। এখন ক্ষেত থেকে হালি পেঁয়াজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পুরুষেরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে এনে বাড়ির উঠানে নামাচ্ছেন। নারীরা সেই পেঁয়াজ পরিস্কার করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন চলতি মৌসুমে জেলায় পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। কিন্তু পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ে হতাশ কৃষকেরা।

কানাইপুর, সাতৈর, ময়েনদিয়া, সালথা, বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিজেদের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলে হাটে বিক্রি করতে এনেছেন চাষিরা। হাটের চারদিকে পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। পাইকার ব্যাপারীদের হাঁকডাকে বাজার সরগরম। তবে, ব্যাপক সরবরাহে দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সামনে নিয়ে বসে আছেন বিষণ্ণ মনে। দরদামের হাঁকাহাঁকিতেও নেই খুব বেশি আগ্রহ।

পেঁয়াজ চাষিরা জানান, গুণগত মানে সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কৃষকদের দাবী তাদের প্রতি মণ পেঁয়াজে লোকসান যাচ্ছে ২০০ -৩০০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজ উৎপাদন করতে তাদের যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, তাতে করে পেঁয়াজের মূল্য বাজারে কম হওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসান হচ্ছে বেশি। চাষিদের দাবি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে পেঁয়াজ চাষিদের লোকসান আরও বাড়বে।

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের পেঁয়াজ চাষি হাচান বিশ্বাস বলেন, গত বছর প্রায় ৫ একর জমিতে হালি পেঁয়াজের চাষে সব মিলিয়ে প্রতি একর জমিতে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও দাম ভালো না পাওয়ায় বেশ লোকসানে পড়তে হয়। এবারও লাভের আশায় প্রায় ৫ একরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। এতে গতবারের মতো এবারও লোকসান গুনতে হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়