শিরোনাম
◈ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে কারণে দুই ভাগ করলো সরকার ◈ কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা ও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ◈ অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা : জুনে আইএমএফ-এর ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ স্থ‌গিত হওয়া পিএসএল ১৭ মে আবার শুরু, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ সিরিজে ◈ ক্লাব বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনার ১৫ হাজার সমর্থককে নিষিদ্ধ করা হলো ◈ শার্শায় ৩০ মামলার আসামী আইনাল গ্রেফতার ◈ ইতালিতে কড়া অভিবাসন নীতি, টার্গেটে বাংলাদেশিরা! ◈ তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল? ভিডিও প্রকাশ্যে ◈ সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ◈ রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:০৪ বিকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:০৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসুর ডাল চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

মুসুর ডাল চাষ

বাবুল আক্তার, চৌগাছা: স্বল্প খরচ আর কমসময়ে অধিক লাভের আশায় মুসুর ডাল চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার মুসুর ডাল চাষিরা। গত এক দশকে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের বীজ বাজারে আসায় কৃষক অন্য ফসলের পরিবর্তে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়েছে মুসুর ডাল চাষে। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম। বাজারে চাহিদাও ব্যাপক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চৌগাছা অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছরে উপজেলায় ৬’শ ৩০ হেক্টর জমিতে মুসুর ডাল চাষের লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে ৫’শ ৫০ হেক্টর জমি। কৃষকদের গম চাষে ফিরে আসা ও ভ‚ট্রা চাষের কারনে ৮০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। যা চাষ হয়েছে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। খেতভর্তি ফুল ও ফল দেখে এবার কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুসুর চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় কম খরচে যথাসময়ে মুসুরের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আরও জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি বীজ, সার ও অন্যান্য সহযোগীতার কারনে খরচ কমেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন ফুলে ফুলে ভরে আছে। উপজেলার সুকপুকুরিয়া, স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর, পাশাপোল, ধুলিয়ানিসহাকিমপুর, পাতিবিলিা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দেখা যায়, গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এখন মুসুর খেতে কীটনাশক এবং ওষুধ প্রয়োগের কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষিরা।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষী লাভলুর রহমান, মনটু, হোসেন আলী, বলেন,  অন্যান্য ফসলের তুলনায় মুসুর ডাল চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়।  একটু দেরিতে বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘মুসুর ডাল একটি লাভজনক ফসল। মুসুর ডাল চাষের জমিতে পরবর্তী সময়ে পাট চাষ করার জন্য সার খরচ খুবই কম হয়। মুসুর ডাল চাষের কারণে জমিতে প্রচুর জৈব সারের সুষ্টি হয়। এর ফলে পাটের ফলন খুব ভালো হয় এবং জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়