স্বপ্না আক্তার, নীলফামারী: নীলফামারীতে দিন দিন বাড়ছে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার। অধিকাংশ দূর্ঘটনায় নিহত চালকদের মাথায় হেলমেট ছিলো না। তাই মোটর সাইকেল চালকদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএমের নির্দেশে চালু করা হয়েছে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’। নির্দেশনাটি কার্যকরে জেলার ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের তেল পাম্প গুলোতে পুলিশের কঠোর তদারকি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কেউ হেলমেট না পড়ে তেল পাম্পে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে এ আইন চালুর পড়ে সড়কে হেলমেট ছাড়া খুবই কম সংখ্যক গাড়ি চোখে পড়ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের দিক নির্দেশনায় পেট্রোল পাম্পের হেলমেট ছাড়া কেউ মোটরসাইকেলে তেল নিতে পারবে না। কেউ মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক চলাচল করতে পারবে না। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে জেলার ১৬টি রুটে’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানেও পেট্রোল পাম্প গুলোতে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
উনার এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী জাতীয় সংসদ সদস্য -১৩ নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর সহ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং জনপ্রতিনিধি, সচেতন মহল ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগন।
চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এসএম শফিকুল আলম ডাবলু বলেন, নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের এই মহতি উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানায়। নিরাপদ সড়ক ও সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য হেলমেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কার্যক্রম যেন উনি অব্যাহত রাখেন।
নীলফামারী সদরের বাদিয়ার মোড় এলাকায় মুক্তা ফিলিং স্টেশনে হেলমেট ছাড়া তেল নিতে আসা নুর আলম বাবু বলেন, এইতো কিছু দিন আগেও এ আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা কার্যকর ছিলো না। এবারে একদমে হেলমেট ছাড়া তেল দিচ্ছে না। সকাল বেলা তাড়াহুড়ার কারণে হেলমেট ছাড়াই বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখানে এসে মনে করিয়ে দিলো একটা চালকের জন্য হেলমেড কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এটা আইন চালকের সুরক্ষার জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আজকে আমি যদিও তেল পাই নাই, তবুও আফসোস নাই। আগামীতে বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই হেলমেডের খোঁজ নিবো।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, আমি এ জেলায় আসার পর থেকেই দেখেছি মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ হারিয়েছে। তাদের অধিকাংশ চালকের হেলমেট ছিলো না। তাছাড়া এ জেলার মানুষ হেলমেড খুব কম করতে চায়। তাই তেল পাম্প গুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হেলমেড ছাড়া কোন গাড়ি তেল পাবে না। এছাড়াও পাম্প গুলোকে সিসি টিভির আওতায় আনা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি সড়কের তেল পাম্প গুলোতে পুলিশের নজরদারি রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :