জামাল হোসেন খোকন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে কাঁচাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন তরতাজা সবজির সরবরাহ বেড়েছে। শীতকালে সবজিতে রোগবালাই তুলনামূলক কম হওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে কৃষকেরা কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যার সুফল পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি আকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা পিচ, বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিচ, বেগুন ২০ টাকা কেজি, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, সিম ১০-১৫ টাকা কেজি, মূলা ২০ টাকা কেজি, গাজর ৩০ টাকা কেজি এবং কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা কেজিতে। নতুন আলু ৩০ টাকা এবং পুরোনো আলু ১৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া লালশাক, পালংশাক, ছোলার শাক ও ধনেপাতার দামও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা আটি দরে। তবে শসা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, বরবটি ও কাঁচকলাসহ কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। পুকুরে চাষ করা মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তেলাপিয়া ও পোনা মাছ ১৭০-১৮০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতলা, মৃগেল ও সিলভার কার্প মাছের দামও কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমেছে। তবে দেশি প্রজাতির মাছ ও পাঙ্গাশ মাছের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি।
বাজারে আসা ক্রেতা লাভলু মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও বাজার করতে এসে টাকা শেষ হয়ে যেত, কিন্তু ব্যাগ ভরত না। এখন ১০০ টাকার মধ্যেই পছন্দের সব সবজি কিনে বাড়ি ফিরছি।’
আরেক ক্রেতা রকিম হোসেন জানান, ‘দাম কমায় এখন বাজার করতে ভালো লাগছে। অল্প টাকায় টাটকা সবজি পাওয়া যাচ্ছে।’
বিক্রেতারা শাহজামাল জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ফলে দাম কমেছে এবং ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে বাজার করতে পারছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহ বাজারে এই দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছেন তারা।