সোহাগ হাসান জয়, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ও পরিবেশগত বিধি লঙ্ঘনকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯টি ইটভাটার মালিককে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ভূঁইয়াগাঁতী, মোজাফফরপুর, বাসাইল-নিমগাছি ও নিজুড়ী এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রায়গঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা।
জরিমানাকৃত ইটভাটাগুলোর মধ্যে শ্যামনাই এলাকার মেসার্স মুন্নি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা, বাসাইল এলাকার মেসার্স বাবলু ব্রিকসকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মোজাফফরপুর এলাকার মেসার্স স্টার ব্রিকসকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং একই এলাকার মেসার্স নবাব ব্রিকসকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া রাজাপুর এলাকার মেসার্স শিমু অরিন ব্রিকস ও কোদলাদিঘর এলাকার মেসার্স হিরো ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা করে, সারটিয়া এলাকার মেসার্স এইচ এস ব্রিকসকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নিজুড়ী এলাকার মেসার্স আর কে বি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা এবং সেনগাতী এলাকার মেসার্স তালুকদার হাইচয়েজ ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান করেন সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম বলেন, অনুমোদনহীন ও পরিবেশ বিধি লঙ্ঘনকারী ইটভাটাগুলো পরিবেশ, কৃষিজমি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরকার ঘোষিত আইন অনুযায়ী এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘনের দায়ে এসব জরিমানা আরোপ করা হয়। পরিবেশ ও কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. শাহিন আলমসহ রায়গঞ্জ থানার পুলিশের একটি চৌকস দল সার্বিক সহায়তা প্রদান করে।