শিরোনাম
◈ ভোটের আগে জোট ও পর্দার আড়ালে ‘সমঝোতা’ ◈ ‘জুবাইদা রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তার নিজস্ব’ ◈ খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা পেছাতে পারে আরও ◈ ফোন নজরদারিতে নতুন পদক্ষেপ: স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং চালু করতে চায় ভারত ◈ মজুদ প্রচুর, তবুও দুই দিনে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ল ৪০ টাকা ◈ লবণ উৎপাদনে ধস: আমদানি অনুমতিতে দামপতন, বিপাকে চাষী–মিল মালিক ◈ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ রাতে ◈ মান‌বিক সাহায্যের হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে উধাও ◈ ‌বিশ্বকাপ ফুটবল, শক্তিশালী নরওয়েকে নিয়ে কঠিন গ্রুপে ফ্রান্স ◈ ফুটবল নি‌য়ে বিপা‌কে তুরস্ক,  জুয়া-ম্যাচ ফিক্সিংয়ে গ্রেপ্তার ২৭ খে‌লোয়াড় 

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৩৬ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস আজ: প্রথম উদিত হয় লাল-সবুজের পতাকা

ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস আজ (৬ ডিসেম্বর শনিবার)। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের হটিয়ে ঝিনাইদহকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিকামী বাংলার দামাল ছেলেরা। ঝিনাইদহে প্রথম উদিত হয় লাল-সবুজের পতাকা। মানুষ নির্ভয়ে রাস্তায় নেমে আসে এবং উল্লাস করতে থাকেন।

১৯৭১ সালের পহেলা এপ্রিল স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশে প্রথম যে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামে। ওই দিন পাকবাহিনী যশোর ক্যান্টমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকে।

আক্রমন প্রতিহত করতে বিষয়খালী গ্রামের বেগবতী নদীর তীরে তাদেরকে প্রবল বাঁধার সৃষ্টি করে। পাকবাহিনীকে রুখতে নদীর সেতু গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর প্রায় ৮ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। নদী তীরে সম্মুখযুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটে যায় এবং নিকটন্ষ গড়িয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে নিরীহ গ্রামবাসিকে হত্যা করতে থাকে।

৪ এপ্রিল শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, ৪ আগস্ট একই উপজেলার আলফাপুর যুদ্ধ, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ ও ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এছাড়াও ৬ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ১১ ই নভেম্বর জেলার বিভিন্ন স্থানে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে গেরিলা যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে। অপরদিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। মুক্তিসেনাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ৩ ডিসেম্বর মুক্ত হয় মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর এবং ৫ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ মুক্ত হয়।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা এলাকা দিয়ে কপোতাক্ষ ও চিত্রানদী অতিক্রম করে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিকামীরা ঝিনাইদহে প্রবেশ করে জেলা শহর মুক্ত করে। এসব যুদ্ধে সারা জেলায় ২’শত ৭৬ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামালুজ্জামান বলেন, ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘর থেকে দলে দলে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। ফুল দিয়ে তারা মুক্তিসেনাদের বরণ করে নেন। দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসুচি গ্রহন করেছে।

সূত্র: ইনকিলাব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়