দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং পর্যটনকেন্দ্র আগামীকাল (১ অক্টোবর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। তবে পর্যটকদের কিছু শর্ত মানতে হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা উপজেলার কেওক্রাডংসহ যেসব পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, শুধু সেসব জায়গায় পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য স্থানে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ এবং কিছু শর্ত মেনে পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডংয়ে ভ্রমণ করতে পারবে।
জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয়-সংক্রান্ত কোর কমিটির ২১ সেপ্টেম্বরের সভার সিদ্ধান্ত, রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিঠি এবং বান্দরবান রিজিওনের সেনানিবাস থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
শর্তগুলো হলো—
ক. সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা উপজেলার যেসব পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে সেসব পর্যটনকেন্দ্র ব্যতীত উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে।
খ. জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না।
গ. পর্যটনকেন্দ্র-সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট বা পর্যটন তথ্যসেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।
ঘ. পর্যটক কর্তৃক উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ অমান্য করা হলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা নিকটবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে।
ঙ. পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেসবিহীন সব যানবাহন উল্লিখিত পর্যটনকেন্দ্রসমূহে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে এবং পর্যটকবাহী সব যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চ. অযাচিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটনশিল্পের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত বছরের ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, ১৪টি অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে মূলত জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভ্রমণে পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, সেই সঙ্গে কেওক্রাডংয়ে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সূত্র: আরটিভি