হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. ইমরান ফকির (৩৩) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার উলুহাট গ্রামের মো. আফসার ফকিরের পুত্র।
রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারী নাম মোসা. দিলরুবা বেগম (২০)। বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দেউল মথুরাপুর গ্রামে। তার পিতা মো. দেলোয়ার হোসেন ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট মামলা দায়ের করেন মধুখালী থানায়।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে আমার মেয়েকে স্বামীর বাড়ি মধুখালী উপজেলার উলুহাট গ্রামে স্বামীর পরিবারের লোকজন এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধর করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে গিয়ে বারান্দায় আমার মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।
তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।