শিরোনাম
◈ মোদির লাভ, পুতিনের ভরসা, জিনপিংয়ের প্রভাব—এসসিও সম্মেলনে নতুন ভূরাজনীতি ◈ প্রেমিক যুগল অপহরণচেষ্টা:, উদ্ধারে গেলে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পুলিশকে এলোপাতাড়ি কো.প ◈ ছেলে জয়কে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন শাকিব-অপু ◈ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় ইসি কর্মকর্তারা ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৩৮ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এস আলম! ◈ ‘২ মাসের বেশি রিলেশনে থাকি না, টেস্ট চেঞ্জ করতে ভালো লাগে’ ◈ নির্বাচনের জন্য ১০ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি ◈ এবার নিলামে বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট সাদাপাথর ◈ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ নির্দেশনা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৫৬ বিকাল
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজ

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে একাডেমিক- প্রসাশনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ

এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজের তিন ইন্সট্রাক্টরকে বদলির দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন ওই নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

রবিবার (৩১আগস্ট) সকালে কলেজের সামনে ওই তিন শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অবিলম্বে তাদেরকে (ইন্সট্রাক্টর) অন্যত্র বদলির দাবি জানান।

জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট থেকে বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। এতে ১৮ দিন ধরে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের ইন্সট্রাক্টর মো.জামাল উদ্দিন ভূইয়া, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মোখলেছুর রহমানের বদলির দাবি সাত কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন না হওয়ায় এবং অধ্যক্ষ কর্তৃক ক্লাস রুটিন প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের সব শিক্ষার্থীরা 'যোগ্য ব্যক্তিকে' অধ্যক্ষ পদে পদায়নের দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন করেন। পরে অধ্যক্ষ পদে উম্মে সালমা খানমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই আন্দোলনে নার্সিং কলেজের তিনজন শিক্ষক সরাসরি বিরোধিতা করেন। 

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালীন তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে সরাসরি হুমকি প্রদান করেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে হেনস্তা ও মানহানি করেন। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত দিয়ে তাদের পাঠদান বর্জনসহ শিক্ষার্থী বিষয়ক সব কার্যক্রম থেকে বয়কট করেন। তারপরও ওই তিন শিক্ষক বিভিন্নভাবে কলেজের পাঠদান করায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এ ঘটনায় গত ২ আগস্ট সকল শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন।

কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান চয়ন বলেন, অভিযুক্ত তিন ইন্সট্রাক্টরের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

কলেজের অধ্যক্ষ উম্মে সালমা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি অধিদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই জটিলতার অবসান ঘটবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়