জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জন প্রাণ হারানোর পরও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি চালক আকবর হোসেন (২৪)। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ঘুমিয়ে গাড়ি চালানোর কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের স্বজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘চালকের ঘুমের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তার কারণেই আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। আমরা মামলা করব এবং তাকে ছাড়ব না।’
জানা গেছে, চালক আকবর হোসেন সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।
প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম ও শ্বশুর ইস্কান্দার মির্জা জানান, আড়াই বছর পর ওমান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাহার উদ্দিন। তাকে আনতে গিয়ে পরিবারের ১১ সদস্যের সবাই রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়।
সেখান থেকে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৩০ মিটার গভীর খালে পড়ে যায়।
ঘটনায় বাহারের মা, দুই পুত্রবধূ, তিন নাতনি ও শাশুড়ি মারা যান। প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বাহার, তার বাবা, শ্বশুরসহ চারজন।
পরিবার বলছে, বাহারের দুই ভাই রুবেল ও রনি বিদেশ থেকে ফিরলেই চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে উত্তর জয়পুরের চৌপল্লী গ্রামে। এলাকায় চলছে আহাজারি ও ক্ষোভ। স্থানীয়দের দাবি, অবহেলাজনিত এই মৃত্যুর দায় থেকে চালককে কোনোভাবেই ছাড়া দেওয়া যাবে না।
লক্ষ্মীপুরের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আকবর হোসেন এখনো পলাতক। তাকে আটকে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।
তিনি বলেন, চালক আকবর ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে রয়েছে। তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পরিবার মামলা না করলে আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব। তার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তাকে আটক করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে। ওসি মোবারক হোসেন আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে।