শিরোনাম
◈ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে জুলাই গণহত্যার বিচার: চিফ প্রসিকিউটর ◈ পেহেলগাম হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারীসহ’ নিহত ৩ ◈ প্রাথমিকের ৩৪ হাজার শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও পদোন্নতি ◈ অভিনেতা রাজকুমার রাও এর বিরুদ্ধে ‘জামিন অযোগ্য’ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি! ◈ ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিল আসল র‍্যাব, পথে দুই পক্ষকেই পেটাল জনতা! ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থানে থাকলে ভবিষ্যৎ ভ্রমণে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকি ◈ এনসিপির কাছে নীলা ইস্রাফিলের প্রশ্ন— আপনারা এতদিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন? ◈ ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার অডিওতে এখনো প্রতিশোধপরায়ণতা: ড. আসিফ নজরুল ◈ ক্ষমতা হস্তান্তর ই'স্যুতে উপদেষ্টা আসিফের স্ট্যাটাস! ◈ সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ: জবাব দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও তার ভাই

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৮:২৩ রাত
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাগেরহাটে জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় স্কুল মাঠ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১১৬নং গাবতলা ইসলামাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাসের অর্ধেক সময় থাকে হাটু পানি। প্রতিনিয়ত এ পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় ক্লাসের পাঠদানে।  স্কুল টু সাইক্লোন শেল্টার ভবনটিও ঝুকিপূর্ণ। স্থানীয় অভিভাবকদের দাবী, বিদ্যায়ের মাঠ ভরাটসহ নতুন ভবকন নির্মানের।

সরেজমিনে (২৮ জুলাই) সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পানগুছির নদীর তীরবর্তী মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের ১১৬নং গাবতলা ইসলামাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালটি দুপুর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের মাঠের চারিদিকে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ভরা।  বিদ্যালয়ের  প্রবেশ মুখে পানিতে  ভরা। ১১৯৭২সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও  ৮০ দশকে  মূল ভবনাটি  নির্মিত হয়। সাইক্লোন টু স্কুল এ ভনটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত লবনাক্তাতায় স্কুল ভবনের বিভিন্ স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়লে ২০২৩ সালে সরকারীভাবে  ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে একবার কোন মতে সংস্কার ও রং করা হয়। যে কারনে বাহির থেকে মনেহয় চকচকচ করছে।

প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দূর্যোগে  ভাইজোড়া, কাঠালতলা ও গাবতলা  ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় এক দেড় হাজার মানুষ এ সাইক্লোন টু স্কুল ভবনটিতে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিয়ে থাকে। অথচ বর্তমানে ভবনটি নিজেই জরাজীর্ন ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়।  বিদ্যালয়ের ১শত ৬০জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন হাটু পানি পেরিয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আতংকে থাকতে হচ্ছে। পুর্ণিমার জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে মাসের ১০/১২ দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকে। অভিভাকদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পার করে দিয়ে যেতে হয়। আবার ছুটির সময় পার করে নিতে হয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে দেখা যায় সাইক্লোনের ২য় তলায় ৩টি শ্রেণীকক্ষে  শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষকরা।  

সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম, শাহিনুর খানম, দোলা রায়  বলেন, মাঠে জোয়ারের পানি ওঠার কারনে ছাত্র ছাত্রীদের দৈনিক সমাবেশ করাতে হয় স্কুলের বারান্দায়। রং করার কারনে বাহির থেকে মনে হয় স্কুল ভবনটি ভালো রয়েছে, কিন্তু  এর অবস্থা অত্যান্ত নাজুক।  মাঠ ভরাট ও নতুন ভবনের জন্য ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।  মাঠ ভরাট হলে শিক্ষার্থীদের আর দূর্ভোগ পোহাতে হবেনা। পাশাপাশি স্কুলটিতে নতুন একটি ভবনও প্রয়োজন।

স্থানীয় অভিভাবক  গফ্ফার হাওলাদার, রাজ্জাক শেখ বলেন পুরাতন এ স্কুলটি ছাত্র ছাত্রীও অনেক বেশী পানি মাঠে ভরে থাকায় নিজেদের স্কুলে এসে ছেলেমেয়েদের আনা নেয়া করতে হয়। এ স্কুলের সাইক্লোন ভবনে নদীর আশপাশের  ৩গ্রামের মানুষ ঝড় বন্যা এলে আশ্রয় নেয়। অথচ ভবনটির নাজুক অবস্থা। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নিকট স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবী এ বিদ্যালয়টিতে মাঠ ভরাটসহ  নতুন একটি ভবন নির্মানের।

এসম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শিকদার আতিকুর রহমান বলেন, তিনি সদ্যমাত্র এ উপজেলায় যোগদান করে অনেক স্কুলের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তবে শুধু গাবতলা এ সরকারী প্রাতমিক বিদ্যালয়টি নয় এরকম একাধিক বিদ্যালয় নাজুক অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে টিনসেডের ১০টি বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য তালিকা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। তবে স্কুলের মাঠ ভরাটের একটি তালিকা ইতিপূর্বে কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়টির খোঁজ খবর নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়