এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ ফারিয়া তাসনিম সিদ্দিকী জ্যোতির সন্ধান এখনো মেলেনি।
সোমবার (২৮ জুলাই) দিনভর চেষ্টা করেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৬টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
পরে রাত ৮টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রায় ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে। এ সময় মহাসড়কে ব্যাপক যানজট ও চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তি তৈরি হয়।
এর আগে গত রবিবার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান ওই নারী। দ্রুতই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি।
ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া তাসনিম সিদ্দিকী জ্যোতি রাজধানীর মিরপুরে ১০নং সেক্টরে বসবাস করতেন। তিনি ওষুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মনি ট্রেডিংয়ের সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত ৯টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন হোসেন মার্কেট এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় চলতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে যান জ্যোতি। খোলা ও ঢাকনাবিহীন ওই ম্যানহোলে পড়ে মুহূর্তেই পানির স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে হোসেন মার্কেট এলাকা। 'উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না' স্লোগানে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে উভয় দিকেই যান চলাচলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সঙ্গে বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সড়কের পাশের ১২ ফুট প্রশস্ত ড্রেন সংকুচিত করে ৬ ফুটে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট তীব্র স্রোত ও জলাবদ্ধতার কারণে বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: শাহিন আলম বলেন, ম্যানহোলটির গভীরতা প্রায় ১০ ফুট এবং ভারি বৃষ্টির কারণে ভেতরটা পানিতে পূর্ণ হয়ে আছে। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জিএমপি'র টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, সড়ক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি।