শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চেিতর আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাকে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরুন্নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরুন্নবী বলেন, ‘আগামী ১২ই আগস্ট এসপিকে হাজির হয়ে প্রতিবেদন দাখিল না করার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’ এর আগে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে দু দফা সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৪ই জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে সেই নারীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিও সরানো হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের ঘটনায় মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। গ্রপ্তাের ব্যক্তেিদর মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রপ্তাের করা হয়েছে। অন্যদের গ্রপ্তাের করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে। তারা হলেন–মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রপ্তাের ব্যক্তেিদর বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।