বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হোটেলের কর্মচারীরা পালিয়ে যান। অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে হোটেলটি থেকে ১০ নারী ও দুই পুরুষকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বগুড়া শহরতলির বারপুর এলাকায় ড্রিম প্যালেস নামের আবাসিক হোটেলে এসব ঘটনা ঘটে। হোটেলটিতে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ থাকেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রিম প্যালেস আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছেন। অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমান এবং হোটেল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে কয়েক শ লোক সেখানে অবস্থান নিয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালতকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেলের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকলে সেনাবাহিনী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌঁছে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হোটেলটি থেকে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাশির বলেন, হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেছেন। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল থেকে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।