মো: আদনান হোসেন, ধামরাই ঢাকা থেকে: ঢাকার ধামরাইয়ে প্রবাসী স্বামীর কাছে চিরকুট লিখে রোমানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৮জুলাই) সকালে বালিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে মোঃ জালালউদ্দিন এর বাড়ীতে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চিরকুট উদ্ধার করেন পুলিশ। রোমানা বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামের প্রবাসী মোঃ বারণ আলীর স্ত্রী। সে একই ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মোঃ জালালউদ্দিনের মেয়ে।
মৃত্যুর আগে রোমানা বেগম একটি চিরকুট লিখে গেছেন "সেখানে রয়েছে প্রিয় স্বামী, আমার সংসার নষ্ট করার জন্য জিহাদের মামা-মামী, আর নুরনবী ষড়যন্ত্র কইরা আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিছে (আমার স্বামী) বারণের কাছে আমাকে খারাপ বানাইছে, এলাকার মানুষের কাছে আমাকে খরাপ বানাইছে। আমার এই মুখ আর আমি কাউকে দেখাতে পারবো না। তাই আমি গলাই ধরি দিয়ে মারা যাব। আমার মরার জন্য দায়ী থাকবো আনোয়ার, নুরনবী আর নারগিস। যার কারণে আমি এই পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হলাম। ইতি তোমার বউ।
স্থানীয় মজিবর নামে এক ব্যাক্তি বলেন, কয়েক বছর আগে রোমানার সাথে স্বামী বারনের সঙ্গে বিবাহে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে কোন সন্তান নাই। স্বামী বারন সৌদিআরব থাকেন। বাইচাইল গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, আমরা বসে মিমাংসা করেছি। আপনারা কেন এসেছেন,চলে যান। আপনাদের আবার কিসের তথ্য।
নিহত গৃহবধুর বড় বোন বলেন, আমার মেয়েকে দেবর নুরনবী তার সমন্দি আনোয়ার জ্বালাতন করেছে। আমার মেয়ে আমার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু কাল তার শাশুড়ি ফোন দিয়ে অনেক রাগারাগি করে শশুর বাড়িতে নিয়ে আসে।আজ সকলে শুনি, আমার মেয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।
এই বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি)মোঃ নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, গৃহবধুর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চিরকুটটি উদ্ধার করি। মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছ,তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।