শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৫, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবহেলায় ধ্বংসের পথে

নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র একসময় ছিল দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার। ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দুই দফা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা অঞ্চল। আকাশছোঁয়া আগুনের শিখা ও বিপুল ক্ষতির সাক্ষী হয়েছিল টেংরাটিলা। ২০২৪ সালের ২৪ জুন ছিল সেই ট্র্যাজেডির ২০ বছর পূর্তি, কিন্তু আজও গ্যাসক্ষেত্রটি পড়ে আছে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায়।

দুই দশকেও ঘটনার বিচার হয়নি, হয়নি গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ। নাইকো নামক কানাডিয়ান কোম্পানির ভুল ড্রিলিংয়ের কারণেই ২০০৫ সালের এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের পর গ্যাস চাপ কমাতে রিলিফ কূপ খনন করতে গিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ২৪ জুন রাতে। এতে দুইটি গ্যাস কূপ ধ্বংস হয়ে যায়, পুড়ে যায় কোটি কোটি টাকার রিজার্ভ গ্যাস ও স্থানীয় সম্পদ।

প্রভাব ও ক্ষতি: বিস্ফোরণে কয়েক কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষিজমি, বসতবাড়ি, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এবং পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ে। বাড়ে আয়রন, আর্সেনিক ও চর্মরোগের প্রকোপ। এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাস করছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার পর দেশে-বিদেশে মামলা হয়। নাইকোকে অভিযুক্ত করে সরকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউট (ICSID) নাইকোর বিরুদ্ধে রায় দেয়। বাংলাদেশ সরকার ও বাপেক্স মিলে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও এখনো কোনো অর্থ মেলেনি।

বিচার ও পুনঃখননের অগ্রগতি নেই: ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেও টেংরাটিলা নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। নাইকো দুর্নীতির মামলাটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হলেও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

স্থানীয়দের ক্ষোভ ও দাবি: গ্রামবাসী হাছান আলী ও মোস্তফা মিয়া বলেন, “আশা করেছিলাম গ্যাস উঠবে, বেকারত্ব দূর হবে। কিছুই হলো না।” ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, “এখনো হস্তক্ষেপ না করলে জাতীয় সম্পদ চিরতরে হারাবে দেশ।”

বাপেক্স ও প্রশাসনের বক্তব্য: বাপেক্সের প্রকৌশলী এম. এম. নাজিম উদ্দিন জানান, গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত। ইউএনও অরূপ রতন সিংহ জানান, আন্তর্জাতিক মামলার জটিলতায় প্রকল্পটি থেমে ছিল, তবে ২০২৩ সালে বাপেক্স ফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে এখনো পুনঃখনন নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়