শিরোনাম
◈ আমাদের ব্যানার ধরার লোক খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে, এখন সু-সময়ে বন্ধু কত হয়, দুঃসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়: রুমিন ফারহানা ◈ বিএনপি-সিপিসি নতুন সমঝোতা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল ◈ গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষের পথে, ভারত চাইছে ‘স্বার্থভিত্তিক’ নতুন সমঝোতা ◈ ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার সাফল্য প্রমাণ করতে 'টেস্ট ফুটেজ' দেখাল আমেরিকা ◈ নাটোরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতার প্রবেশ: অতিরঞ্জিত প্রচারের প্রতিবাদ ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে খেল‌ছে শ্রীলঙ্কা, দেখ‌ছে বাংলা‌দেশ, ই‌নিংস হা‌রের অ‌পেক্ষায় শান্তবা‌হিনী ◈ ইরান এখন কী করবে? ◈ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর ইরানে বেড়েছে গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ড, সাংবা‌দিকরাও হুমকি পাচ্ছেন ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ২১১ রা‌নের লিড নি‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের বিষয়গুলো স্পষ্ট করার দাবি সালাহউদ্দিনের

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৫, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা  

এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাটের চিতলমারীতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নৌকার কারিগররা। গ্রামে গেলেই শোনা যায় ঠুকঠাক শব্দ। চলছে নৌকা তৈরির ধুম। বর্ষাকাল এলেই এলাকার মানুষের প্রয়োজন হয় নৌকার। জীবিকার তাগিদে উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন  গ্রামে শত শত মানুষ কাজ করছে এই পেশায়।                                                                                                                                                  
বর্ষার আগমনী বার্তা, ঝরছে ঝিরঝির বৃষ্টি। বইছে সুবাতাস। নদী, খাল বিল, হাওড় বাওড়ে বাড়ছে পানি। তাই নৌকা তৈরির কাজে কারিগররা পার করছেন ব্যস্ত সময়। দিনরাত হাতুড়ি-বাটালের ঠুকঠুকানিতে মুখর বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নৌকার কারিগররা। হাওড়, বাওড়, খাল, বিল ও নদীমাতৃক বাংলাদেশ। এদেশে বর্ষা মৌসুমে নিম্নাঞ্চলের মানুষের বাহন হিসেবে নৌকার প্রচলন আবহামান কালের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। বন্যাকবলিত এই এলাকায় মানুষের পারাপারে নৌকাই তাদের ভরসা। বর্ষাকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার কাজে নৌকার ব্যবহার সহ নিচু এলাকার মানুষের নৌকার প্রচলন অতি গুরুত্বপূর্ণ।


 উপজেলার নালুয়া বাজারের নৌকার ব্যবসায়ী রমজান শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখ জানান, বর্ষা মৌসুমে তারা প্রতিনিয়ত নৌকা তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকেন। এখান থেকে পাইকারি এবং খুচরা হিসাবে নৌকাগুলো বিক্রি করা হয়।

 নৌকার কারিগর নেয়ামত শেখ সহ অন্যরা জানান, তারা চুক্তি ভিত্তিক মালিকদের কাজ করেন। দৈনন্দিন যে মুজুরী পান তাতে তাদের পরিবার সাচ্ছন্দে চলতে পারে। জানা গেছে দুরদুরন্তের হাট বাজারের ব্যপারিরা এখান থেকে পাইকারি দামে নৌকা কিনে বিবিধ যান বাহনে নিয়ে যান। ৮ থেকে ১০ হাত দৈর্ঘ্যরে নৌকা চার-পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নৌকা বড় হলে দামও বাড়ে। সেগুলোর মুল্য চুক্তি মোতাবেক ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে তৈরি করে দেয়া হয়।

 সাবোখালী গ্রামের পংকজ রাজবংশী, কাঙাল রাজবংশীসহ অনেকে  জানান, বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকার অধিকাংশ জেলে নৌকা দিয়ে মাছ শিকার করেন। নিম্নাঞ্চলের কৃষকেরা সারা বছর জুড়ে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিপনণের জন্য নৌকা ব্যবহার করে থাকেন। চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘেরেও বিপুল পরিমান নৌকা ব্যবহার হয়।

[৭] নৌকা তৈরির কারিগর (মিস্ত্রি) মো. হাসান শেখ, মো. রুহুল আমিন ও মো. হাবিল রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকে বর্ষার সময় নৌকা তৈরি করি। বড় নৌকার চেয়ে ছোট ডিঙ্গি ও কোশা নৌকার চাহিদা বেশি। এতে প্রতিটি ১২ হাতের নৌকা বানাতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি করা যায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নালুয়া এলাকার স্মিল মিস্ত্রি ও নৌকা তৈরির কারিগর মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বর্ষা মৌসুম এলে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকি। এই সময় নৌকার চাহিদা বেড়ে যায়। আমরাও অতিরিক্ত কিছু আয় করতে পারি। একটি ছোট নৌকা তৈরি করতে ৪ হাজার টাকার কাঠ লাগে। একটি নৌকা বানাতে দুইজন মিস্ত্রী দুই দিন সময় লাগে। তাদের মজুরী দিতে হয় ২ হাজার টাকা। তবে কাঠের দাম ও হেলপারদের মজুরী বেড়ে যাওয়ায় লাভ তুলনামূলক ভাবে কম হয়। বাণিজ্যিক ভাবে বড় আকারের ৫০ হাতের একটি কাঠের নৌকা তৈরি করতে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়।

নৌকা কিনতে আসা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই নিচু এলাকাতে নৌকার প্রয়োজন দেখা দেয়। নিচু এলাকা হওয়ায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। তখন নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় থাকে না। তখন নৌকাই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়